Advertisement

পৃথিবীর আরও উন্নত ছবি ভারতের হাতে, নাসার সঙ্গে যৌথ মিশন ইসরোর

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) মার্কিন মহাকাশ সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) এর সঙ্গে যৌথভাবে পৃথিবী পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট মিশনের জন্য একটি রাডার তৈরির কাজ শেষ করেছে সম্প্রতি। একটি সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার (এসএআর) তৈরি করা হয়েছে যার মাধ্যমে হাই রেজোলিউশনে এবার মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে দেখতে পাবে ভারত।

হাই রেজোলিউশনে এবার মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে দেখতে পাবে ভারত।হাই রেজোলিউশনে এবার মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে দেখতে পাবে ভারত।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 09 Mar 2021,
  • अपडेटेड 11:54 PM IST
  • হাই রেজোলিউশনে এবার মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে দেখতে পাবে ভারত
  • সৌজন্যে নাসা এবং ইসরোর যৌথ প্রয়াস
  • পৃথিবী পৃষ্ঠের এক সেন্টিমিটারের চেয়ে কম পরিবর্তনগুলি পরিমাপ করার জন্য এগুলি ব্যবহার হবে

ইসরোর মুকুটে নয়া পালক। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) মার্কিন মহাকাশ সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) এর সঙ্গে যৌথভাবে পৃথিবী পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট মিশনের জন্য একটি রাডার তৈরির কাজ শেষ করেছে সম্প্রতি। একটি সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার (এসএআর) তৈরি করা হয়েছে যার মাধ্যমে হাই রেজোলিউশনে এবার মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে দেখতে পাবে ভারত।

নাসা-ইসরো এসএআর (NISAR) পৃথিবী পর্যবেক্ষণের জন্য একটি দ্বৈত ফ্রিকোয়েন্সিযুক্ত এল এবং এস ব্যান্ডের SAR। নাসা জানিয়েছে, NISAR হল প্রথম স্যাটিলাইট মিশন যেটি ২টি আলাদা আলাদা র‍্যাডার ব্যবহার করবে। পৃথিবী পৃষ্ঠের এক সেন্টিমিটারের চেয়ে কম পরিবর্তনগুলি পরিমাপ করার জন্য এগুলি ব্যবহার হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল নাসা এবং ইসরো। সেখানেই NISAR যৌথভাবে তৈরি ও লঞ্চ করার কথা হয়েছিল। ২০২২ এর প্রথম দিকে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা স্পেসপোর্ট থেকে এটি লঞ্চ করা হবে বলে জানান হয়েছে। ISRO স্পেসক্র্যাফ্ট বাস, এস-ব্যান্ড ব়্যাডার, লঞ্চ ভেহিকল এবং মিশনের জন্য সম্পর্কিত লঞ্চ সার্ভিস সরবরাহ করছে। NISAR স্যাটেলাইট মিশনের এস-ব্যান্ড এসএআর পে-লোডকে ৪ মার্চ ভার্চুয়ালি মহাকাশ বিভাগের সচিব এবং ইসরো চেয়ারম্যান কে শিভন উদ্বোধন করেন।

আরও পড়ুন

নাসা জানিয়েছে মিশনটি পৃথিবীর পরিবর্তিত বাস্তুতন্ত্র, গতিশীল পৃষ্ঠ এবং বরফ পরিমাপ করবে। পাশাপাশি এটি বায়োমাস, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্থান এবং ভূগর্ভস্থ জলের তথ্য সরবরাহ করবে বলেও জানিয়েছে নাসা।

নাসা জানিয়েছে, পৃথিবীর বরফে ঢেকে থাকা জায়গাগুলির ১২ দিন নিয়ম করে চড়াই উৎরাই দেখবে NISAR। এছাড়া প্রতি ৬ দিনে পৃথিবীর গড় নমুনা পর্যবেক্ষণ করবে। ৩ বছর এই মিশন চালাবে NISAR। এই মিশনের মাধ্যমে হিমবাহের প্রবাহ থেকে শুরু করে ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির স্ফূরণ পর্যন্ত অনেক কিছুই পর্যবেক্ষণ করা হবে।

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement