ভারতের অপারেশন সিঁদুরে জইশ-ই-মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের পরিবারের অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। গতরাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা চালায় ভারত। জইশ-ই-মহম্মদের শক্ত ঘাঁটি বাহাওয়ালপুর এবং লস্কর-ই-তইবার মুরিদকে ঘাঁটি সহ অনেক জঙ্গি লঞ্চপ্যাডে মিসাইল হামলা চালিয়েছে। বাহাওয়ালপুরে সুবহান-উল-আল্লাহর জামে মসজিদে হামলাতেই মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও নিহত হয়েছে আজহারের ৪ জন ঘনিষ্ঠ সহযোগীও।
ভারতের হামলায় পরিবারের এতজন সদস্যর নিহত হওয়ার খবর স্বীকার করেছে মাসুজ আজহার। নিহতদের মধ্যে রয়েছে মাসুদ আজহারের বড় বোন এবং তার স্বামী, মাসুদ আজহারের ভাগ্নে, তার স্ত্রী, আরেক ভাগ্নী এবং পরিবারের পাঁচ সন্তান। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, মঙ্গলবার রাতে হামলায় মাসুদ আজহারের এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং তার মা, আরও দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিহত হয়েছে। ভারতের হামলায় তার পরিবার ধ্বংস হওয়ার পর মাসুদ আজহার বলেছে, 'আমিও মরে গেলে ভাল হত।'
পহেলগাঁও হামলায় ২৬ জন সাধারণ নাগরিককে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। এই ঘটনার দু সপ্তাহ পরে অপারেশন সিঁদুরের অধীনে পাকিস্তানে সামরিক হামলা চালিয়েছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই এই আপারেশনের নাম দিয়েছেন অপারেশন সিঁদুর। গত এক সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত জঙ্গি ও তাদের সাহায্য়কারীদের রেহাই দেওয়া হবে না।
অপারেশন সিঁদুরে এখনও পর্যন্ত ৯০ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা RAW বিমান হামলার জন্য সমস্ত টার্গেট চিহ্নিত করেছিল, যার পরে লস্কর এবং জইশ ঘাঁটিতে আক্রমণ করা হয়েছিল। এই অপারেশনে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি সন্ত্রাসবাদী আস্তানায় হামলা চালিয়েছে। এই অপারেশটি রাত ১.৩০ টার দিকে করা হয়েছিল। বাহাওয়ালপুর, কোটলি এবং মুজাফ্ফরাবাদে হামলা চালানো হয়েছিল।
২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছিলেন। এই হামলাটি বৈসরন উপত্যকায় করা হয়েছিল, যেখানে জঙ্গিরা বেছে বেছে মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি করেছিল। নিহতদের মধ্যে ২৫ জন ভারতীয়। একজন নেপালি।