পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই। তাই তো ফের নিজের মাটিতে জঙ্গি তৈরির কারখানা খুলে ফেলল তারা। উদ্দেশ্য একটাই, ভারতে হামলা চালানো। ভাবছেন, এই কথা কেন বলছি? তাহলে শুনুন, জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ ই মহম্মদ পাকিস্তানে বসেই নতুন জেহাদের ফর্মুলা বের করে ফেলেছে। মাত্র ৫০০ টাকায় বালিকা ও মহিলাদের দেওয়া হবে জেহাদি ট্রেনিং। তাদের তরফে এই বিষয়ে নতুন কোর্স প্রকাশ করা হয়েছে। এই কোর্সটি করাবে মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি মাসুদ আজহারের বোন এবং উমর ফারুকের স্ত্রী। এই জেহাদি কোর্সে ভর্তি হতে চাইলে ৫০০ পাকিস্তানি টাকা খরচ করে নাম লেখাতে হবে।
আসলে বেশ কিছু দিন ধরেই নিজেদের দলে বেশি সংখ্যায় মহিলা নিচ্ছে জইশ ই মহম্মদ। আর সেই কাজেই আরও একধাপ এগিয়ে থাকতে চাইছে তারা। এক্ষেত্রে আজতকের হাতে একটি এক্সক্লুসিভ ডকুমেন্ট এসেছে। সেই নথি থেকে জানা যাচ্ছে, মহিলাদের জিহাদি ট্রেনিং দিতে অলনাইনে কোর্স এনেছে সংস্থা। আর এই কোর্স করানোর জন্য মহিলাদের থেকে টাকা তুলছে জইশ। এই কোর্সের নাম রাখা হয়েছে 'তুফাত আল মুমিনত'।
এর আগে জানা গিয়েছিল, রাষ্ট্রসংঘের নিষিদ্ধ গোষ্ঠী জইশ মহিলাদের নিয়ে তৈরি করেছে জামাত উল মুমিনত। সেই গোষ্ঠীই কোর্সটি করাবে।
জঙ্গিদের কারখানায় মহিলাদের প্রবেশ
নিজেদের জঙ্গিগোষ্ঠীকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করানোর জন্য মহিলা ব্রিগেড তৈরি করতে চাইছে জইশ। জইশের জঙ্গিরাও নিজেদের পরিবারের মহিলাদের এই গোষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে। পাশাপাশি অন্য মহিলাদেরকেও দলে টানার জন্য দেওয়া হচ্ছে ট্রেনিং।
অনলাইনে দেওয়া হবে লেকচার
নভেম্বর ৮ থেকে শুরু হবে কোর্সের ক্লাস। এই কোর্সের দায়িত্বে রয়েছেন মাসুদ আজহারের দুই বোন সাদিয়া আজহার এবং সামিরা আজহার। তারা মহিলাদের জামাত উল মুমিনাতে (জইশের মহিলা শাখা) যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাবেন। নেওয়া হবে ৪০ মিনিটের ক্লাস।
মাসুদের ছোট বোন একটা সুযোগ পেল
সদ্য তৈরি হয়েছে জামাত উল মুমিনত। আর এই সংগঠনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে সাদিয়া আজহারের উপর। বোন এই দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে বলে মনে করেন মাসুদ আজহার।
আসলে অপারেশন সিঁদুর চলার সময় ভারতের আক্রমণে প্রাণ হারায় সাদিয়ার স্বামী। সেই কারণে সাদিয়াকেই এই দল লিড করার জন্য বেছে নিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বোন সাফিয়া ফারুক এবং আফ্রিয়া ফারুককেও এই সংগঠনের দায়িত্বে এনেছেন।
কেন অনলাইনে ক্লাস?
আসলে পাকিস্তানে মহিলাদের একা বেরনোর উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই নিজেদের জঙ্গি দল ভরাতে অনলাইনে ক্লাস করাবে তারা। পাশাপাশি এই ক্লাসের জন্য ৫০০ টাকা করেও তোলা হবে। তার মাধ্যমেই জেহাদের বীজ রোপন করবে তারা।