মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিলেন। শেষরক্ষা হল না। শুক্রবার সকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের। পশ্চিম জাপানের নারা শহরে ভাষণ দেওয়ার সময় আচমকা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। বুকে গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের চেষ্টা বিফলে গেল। বাঁচানো গেল না আবেকে।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরই লুটিয়ে পড়েন আবে। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। গুলি লাগার পর হৃদরোগে আক্রান্ত হন। প্রচুর রক্তপাতও হয়েছে তাঁকে। চিকিৎসকরা চেষ্টা করলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শিনজো। ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত জাপানের দায়িত্ব সামলেছিলেন।
নারা শহরে নির্বাচনী ভাষণ দিচ্ছিলেন শিনজো আবে। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি চালায় আততায়ী। একটি গুলি লাগে আবের বুকে। আর একটি গলায়। তখনই লুটিয়ে পড়েন আবে। সেই সময় হার্টঅ্যাটাকে আক্রান্ত হন। সিপিআর দিয়ে তাঁর প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা হয়েছিল। পরে তাঁকে এয়ারলিফ্ট করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আততায়ীকে পাকড়াও করেছে জাপান পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, শিনজো আবেকে মারতেই এসেছিল সে। শিনজো আবের কাজকর্মে আপত্তি ছিল তার।
জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াণে ভারতে একদিনের জাতীয় শোক পালনের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি টুইট করেছেন, 'আমার কাছের বন্ধু শিনজো আবের প্রয়াণে আমি শোকাহত। বর্ণনা করার ভাষা নেই। ওঁ আন্তর্জাতিক রাজনীতিক। দুর্দান্ত নেতা ও প্রশাসক। জাপানের উন্নতিতে নিজের জীবনে সমর্পিত করেছিলেন।'
শিনজোর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের কথাও স্মরণ করেছেন মোদী। তিনি লিখেছেন,'অনেক বছর ধরে আবের সঙ্গে আমার সম্পর্ক। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে জানার সুযোগ হয়েছিল। যে বন্ধুত্ব প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেও অটুট ছিল। অর্থনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে তাঁর জ্ঞান আমায় প্রভাবিত করেছে। সদ্য জাপানে গিয়েও শিনজো আবের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছিল। তখনও জানতাম না এটাই ছিল শেষ সাক্ষাৎ। তাঁর পরিবার ও জাপানবাসীকে সমবেদনা জানাচ্ছি।'
সেই সঙ্গে ৯ জুলাই একদিনের রাষ্ট্রীয় শোকও ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।