Advertisement

Japan : জাপানের প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত শিগেরুর, কেন? ওই পদে কে আসবেন?

দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ১০ মাসের মাথায় ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। ফলে জাপানের রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। জাপানে এখনও ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং তাদের জোটসঙ্গী কোমেইতো।

Shigeru IshibaShigeru Ishiba
Aajtak Bangla
  • টোকিও ,
  • 07 Sep 2025,
  • अपडेटेड 5:56 PM IST
  • ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা
  • ফলে জাপানের রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে

দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ১০ মাসের মাথায় ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। ফলে জাপানের রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। জাপানে এখনও ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং তাদের জোটসঙ্গী কোমেইতো। তবে দলের মধ্যে শিগেরুকে নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছিল। এই পরিস্থিতিতে নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। দলীয় নেতৃত্বকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন বলেও ঘোষণা করেছেন ৬৮ বছর বয়সী শিগেরু। 

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি শিগেরু। সংখ্যাগরিষ্ঠতাও হারিয়েছিলেন। সংসদের উচ্চকক্ষের ভোটে হেরে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। তবে তিনি সরেননি। তার জেরে দলীয় কোন্দলও শুরু হয়েছিল। 

পদত্যাগ না করলেও শিগেরু আমেরিকান রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে মনোনিবেশ করেন। কিন্তু তাতে সেই দেশের ক্ষতি হয়। জাপানের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর অন্যতম হাতিয়ার অটোমোবাইল শিল্প ক্ষতির মুখে পড়ে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অসুবিধে থেকে দেশকে তিনি বের করতে পারবেন না, তা বুঝেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। 

এদিকে কোইজুমি এবং তাকাইচিকে শিগেরু ইশিবার সম্ভাব্য উত্তরসূরি বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু নতুন নেতা কে হবেন তার উপর অনেকটা নির্ভর করছে জাপানের অর্থনীতি। আমেরিকার সঙ্গে জাপানের সম্পর্ক কোন খাতে বইবে তাও নির্ভর করবে নতুন মুখ ও তাঁর নীতির উপর। সেদিক থেকে বিচার করলে জাপানের সরকার খুব শিগগিরই স্থিতিশীল হতে পারবে, এমনটা নয়। 

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, পরবর্তী নেতা যিনি হবেন তিনি ম্যান্ডেট পেতে হঠাৎ নির্বাচনের ঘোষণা করতে পারেন। জাপানের বিরোধী দল দুর্বল। কিন্তু অতি-ডানপন্থী এবং অভিবাসন-বিরোধী সানসেতো দল সম্প্রতি ভালো ফলাফল অর্জন করেছে। সেই দেশের ৫৫% মানুষের মত, আগাম নির্বাচনের কোনও দরকার নেই। যদিও বাকি অনেকেই নির্বচনের পক্ষে সওয়াল করেছেন। এখন দেখার কোন পথে হাঁটেন নয়া প্রধানমন্ত্রী। 
  

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement