অপারেশন সিঁদুরে ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় গুঁড়িয়ে গেছে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিগুলি। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আজ তক সূত্রে খবর, পাকিস্তান তাদের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা তাদের সদর দফতর মুরিদকে থেকে বাহাওয়ালপুরে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এর থেকে পরিষ্কার পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা এবং এদের ছায়াসঙ্গী 'দ্য রেজিস্ট্যান্ট ফোর্স' (TRF)-কে সমর্থন করছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এই পুরো ঘটনার উপর কড়া নজর রাখছে। মনে করা হচ্ছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী লস্কর-ই-তৈবা এবং প্রতিরোধ বাহিনীর সদর দফতর 'বাহওয়ালপুর' রাখতে চায়। এতে উভয় সংগঠন সহজেই পরিচালনা করা, সমন্বয় বাড়ানো সহজ হবে বলে মনে করছে।
এই ঘটনা ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয় কারণ সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে নতুন করে উৎসাহ যোগাতে পারে। সীমান্তের ওপার থেকে হুমকি আরও বাড়তে পারে। পহেলগাঁও হামলার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন 'দ্য রেজিস্ট্যান্ট ফোর্স' (TRF)-কে বিদেশী সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এবং বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদী (SDGT) সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে, তখন এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। ভারত এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
অপারেশন সিঁদুরে বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকে-তে আক্রমণ
২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী ঘটনায় ২৬ জন প্রাণ হারান। এই ঘটনার পর ভারত অপারেশন সিঁদুর-এ পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে নিশানা করে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে অবস্থিত দু'টি অত্যন্ত সংবেদনশীল সন্ত্রাসবাদী আস্তানা মুরিদকে এবং বাহাওয়ালপুরে হামলা চালায়। বাহাওয়ালপুর এবং মুরিদকে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিতে ড্রোন, রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই ঘটনাগুলির বিষয়ে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি, তবে বিস্ফোরণের ছবি এবং ভিডিও স্থানীয় প্রতিবেদন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান, প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের ওপর হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছে।