Advertisement

ভারতের ভয়ে লস্করের জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আফগান সীমান্তে সরাল পাকিস্তান

এখানে দুটি প্রধান কোর্স করানো হবে। সেগুলি হল-দৌরা-ই-খাস এবং দৌরা-ই-লস্কর। এগুলি সন্ত্রাসবাদীদের অস্ত্র পরিচালনা, আক্রমণ এবং জিহাদে প্রশিক্ষণ দেবে।

ভারতের ভয়ে লস্করের জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আফগান সীমান্তে সরাল পাকিস্তানভারতের ভয়ে লস্করের জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আফগান সীমান্তে সরাল পাকিস্তান
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 26 Sep 2025,
  • अपडेटेड 3:56 PM IST
  • এখানে দুটি প্রধান কোর্স করানো হবে
  • সেগুলি হল-দৌরা-ই-খাস এবং দৌরা-ই-লস্কর

ভারতের ভয়ে এবার জঙ্গি ঘাঁটি আফগান সীমান্তে সরাল পাকিস্তান। খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে একটি নতুন লস্কর-ই-তইবা (এলইটি) প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। আর খবর সামনে আসতেই সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। এই কেন্দ্র সন্ত্রাসবাদকে ইন্ধন দিতে পারে। নতুন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নাম মারকাজ জিহাদ-ই-আকসা। এই কেন্দ্রটি আফগান সীমান্ত থেকে প্রায় ৪৭ কিলোমিটার দূরে লোয়ার দির জেলার কুম্বান ময়দান এলাকায় তৈরি হচ্ছে। জামিয়া আহলে সুন্নাহ মসজিদ সংলগ্ন ৪,৬৪৩ বর্গফুট জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে। অপারেশন সিঁদুরের ২ মাস পরে ২০২৫ সালের জুলাই মাসে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হবে। অপারেশন সিঁদুর ছিল ভারতের একটি অভিযান, যেখানে লস্করের বেশ কয়েকটি আস্তানা ধ্বংস করা হয়েছিল।

কী কী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

এখানে দুটি প্রধান কোর্স করানো হবে। সেগুলি হল-দৌরা-ই-খাস এবং দৌরা-ই-লস্কর। এগুলি সন্ত্রাসবাদীদের অস্ত্র পরিচালনা, আক্রমণ এবং জিহাদে প্রশিক্ষণ দেবে।

আরও পড়ুন

পুরনো কেন্দ্র প্রতিস্থাপন: এটি লস্কর-ই-তইবার জান-ই-ফিদাই আত্মঘাতী ইউনিটের স্থলাভিষিক্ত হবে। এই ইউনিটটি পূর্বে ভিম্বর-বারনালার মারকাজ আহলে হাদিসে অবস্থিত ছিল, যা ভারতীয় সেনাবাহিনী অপারেশনে ধ্বংস হয়েছিল। নিয়োগ এবং মৌলবাদ: এখানে নতুন নিয়োগকারীদের নিয়োগ এবং মৌলবাদে পরিণত করা হবে এবং বৃহৎ দলে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

নেতৃত্ব এবং অপারেশনাল কমান্ড

নাসার জাভেদকে কমান্ড দেওয়া হয়েছে। সে ২০০৬ সালের হায়দরাবাদ বোমা হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড। সে ২০০৪ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পাক অধিকৃত কাশ্মীরে দুলাই ক্যাম্প চালিয়েছে।

জিহাদ শিক্ষা: মুহাম্মদ ইয়াসিন (ওরফে বিলাল ভাই) জিহাদের উপর ধর্মীয় শিক্ষা দেবে।

অস্ত্র প্রশিক্ষণ: আনাস উল্লাহ খান অপারেশনাল অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেবে। সে ২০১৬ সালে লস্কর-ই-তইবার গড়ি হাবিবুল্লাহ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।

কৌশলগত স্থানান্তর: লস্কর-ই-তইবার ঘাঁটি খাইবার পাখতুনখোয়ায় স্থানান্তরিত হয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এবং পাঞ্জাবে তার পূর্বের ঘাঁটি ছেড়ে। ভবিষ্যতে ভারতীয় আক্রমণ ঠেকানোর উদ্দেশ্যে এটি করা হয়েছে।

Advertisement

অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে সমন্বয়: এই কেন্দ্রটি হিজবুল মুজাহিদিনের HM-313 ক্যাম্প থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সমন্বয় বা কৌশলগত সহযোগিতার সম্ভাবনা থাকছে।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ভূমিকা: ২০২৫ সালের জুন মাসে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অপারেশন ২ ডজনেরও বেশি টিটিপি (তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান) সদস্য নিহত হয়। এর ফলে এলাকাটি এলইটি থেকে মুক্ত হয়েছে বলে মনে হয়।

এলাকায় নিরাপত্তা উদ্বেগ: সন্ত্রাসী কার্যকলাপ:

এই এলাকাটি সর্বদা ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল ছিল। আল বদর এবং টিটিপির মতো গোষ্ঠীগুলি এখানে সক্রিয়।

বেসামরিক হতাহত: ২০২৫ সালের জুন থেকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর বিমান হামলায় ৪০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এটি সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী অভিযানের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

পাকিস্তানের কৌশল: পাকিস্তান ভাল সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করে এবং খারাপ সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করে। মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গন্ডাপুর নিজেই এটি স্বীকার করেছেন। এটি সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতির উপর সন্দেহ প্রকাশ করে। এই নতুন কেন্দ্রটি ভারত এবং সমগ্র অঞ্চলের জন্য একটি সতর্কতা সঙ্কেত। এলইটি-র মতো গোষ্ঠীগুলির কার্যকলাপ শান্তির জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।

Read more!
Advertisement
Advertisement