সালটা ছিল ২০২৩। প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর শাসনকালেই 'ইন্ডিয়া আউট' স্লোগান তুলেছিল মলদ্বীপ। দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছিল। দূরত্ব বেড়েছিল নয়াদিল্লি ও মালের। ভারতীয়রাও অন্যতম অন্যতম জনপরিয় মলদ্বীপ ট্যুর বয়কট করতে শুরু করেছিল। কাট টু ২০২৫। ২ বছরের মধ্যে ৩৬০ ডিগ্রি পরিবর্তন নজরে এলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মলদ্বীপ সফরে। ভারতকেই এখন সবচেয়ে 'বিশ্বস্ত বন্ধু'-র তকমা দিচ্ছে মলদ্বীপ।
সেই মলদ্বীপে দাঁড়িয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বললেন, ‘আমাদের সম্পর্কের শিকড় ইতিহাসের চেয়েও পুরোনো এবং সমুদ্রের মতো গভীর।’
মলদ্বীপের স্বাধীনতার ৬০ বছর উদযাপনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিশেষ আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই দু’দিনের সফরে মলদ্বীপে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যা দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটিয়েছে এবং তা আরও মজবুত করেছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
ভারতের থেকে কী কী সহায়তা পেল মলদ্বীপ?
বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা সহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে সহযোগিতা জোরদার করার জন্য মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
উভয় দেশের ঐতিহ্যবাহী নৌকার স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়েছে।
ভারত মলদ্বীপকে ৪,৮৫০ কোটি টাকার (৫৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঋণ দেওয়ার ঘোষণা করেছে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই অর্থ মলদ্বীপের জনগণের অগ্রাধিকার অনুসারে অবকাঠামোগত উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রকল্পগুলিতে ব্যবহার করা হবে।’
উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, অতীতেও মলদ্বীপের অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময় পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। ২০২৪ সালে, নয়াদিল্লি মলদ্বীপের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলারের জরুরি আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল এবং ৩,০০০ কোটি টাকার মুদ্রা বিনিময় বাড়িয়েছিল। এ ছাড়া পরিকাঠামো, বাণিজ্য, শিক্ষা, জল এবং স্যানিটেশনে ইতিমধ্যেই ৪৫০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ রয়েছে ভারতের। ২০২৪ সালের এই সাহায্যই কূটনৈতিক সম্পর্কের পটপরিবর্তন ঘটায়।