প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে বড়সড় খেসারত দিতে হতে পারে মালদ্বীপের (Maldives) প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজুর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন মালদ্বীপে সংসদে সংখ্যালঘু নেতা আলি আজিম। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে কুরুচিকর আক্রমণের জেরেই এই পদক্ষেপ বলে জানা যাচ্ছে।
প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যূত করার তোড়জোড়
ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে অবমাননাজনক মন্তব্য করার অভিযোগে রবিবারই তিন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করেছে মালদ্বীপ সরকার। মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূতকে জরুরি তলব করেছে ভারত। এরপরেই মুইজুর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ডাক দেন আলি আজিম। এক্স হ্যান্ডেলের লিখলেন, মুইজুকে ক্ষমতা থেকে সরাতে জরুরি পদক্ষেপ করতে ইচ্ছুক তো? অনাস্থা প্রস্তাব আনতে তৈরি হন।
মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফর ঘিরে অপমানজনক মন্তব্য
সম্প্রতি ভারতের ক্ষুদ্রতম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সফরের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়। মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী এবং বেশ কিছু রাজনীতিক ওই ছবিগুলিতে মোদীকে পুতুল, জোকার বলে মন্তব্য করেন। ভারত-ইজরায়েল সম্পর্ক নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়। পরে অবশ্য বিতর্কের মুখে পোস্টগুলি ডিলিট করে দেওয়া হয়।
এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক। মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি এবং আর এক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাসিদ মোদীর সমালোচনা করা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি তোলেন। তাঁরা জানান, ভারত মলদ্বীপের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এমন মন্তব্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। লাক্ষাদ্বীপ সফরের ছবি দেখে মালদ্বীপের নেতা জাহিদ রামিজ দাবি করেন, 'ভারতের সমুদ্রসৈকতগুলো তো আমাদের মতো পরিষ্কার নয়। ঘর থেকে দুর্গন্ধ আসে।'
ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগ বয়কট মালদ্বীপ
এদিকে বিতর্কের মাঝে সোশাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে হ্যাশট্যাগ বয়কট মালদ্বীপ। এর মধ্যে মলদ্বীপের সমস্ত বুকিং বাতিল করেছে ‘Ease MyTrip’ অনলাইন ট্র্যাভেল এজেন্সি।