Advertisement

Maldives India: '১৫ মার্চের মধ্যে সেনা সরিয়ে নিক ভারত', 'মেজাজ' দেখালেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি

বিগত কয়েক বছর থেকে মালদ্বীপে ভারতের সেনার একটা ছোট অংশ সেখানে মোতায়েন রয়েছে। মালদ্বীপের এর আগের সরকারের চাওয়াতেই ভারত সরকার নিজেদের সৈনিক এখানে মোতায়েন করেছিল। সমুদ্র সুরক্ষা এবং বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষার জন্য ভারতের সাহায্যের জন্য ভারতীয় সেনার একটা অংশ মালদ্বীপে মোতায়েন করা হয়েছিল।

নরেন্দ্র মোদী ও মহম্মদ মুইজ্জু। ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 14 Jan 2024,
  • अपडेटेड 5:23 PM IST

মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু (Mohammad Muizzu) আরও একবার ভারতকে চোখ রাঙাতে চেষ্টা করছেন। চিন থেকে ফিরে আসার পর মুইজ্জু বলে দিলেন যে ভারত ১৫ মার্চের আগে মালদ্বীপ থেকে নিজের সৈনিক সরিয়ে নিক। এর আগে তিনি বিনা নাম নিয়ে বলেছিলেন যে আমাদের বুলি করার লাইসেন্স কারও কাছে নেই।

বিগত কয়েক বছর থেকে মালদ্বীপে ভারতের সেনার একটা ছোট অংশ সেখানে মোতায়েন রয়েছে। মালদ্বীপের এর আগের সরকারের চাওয়াতেই ভারত সরকার নিজেদের সৈনিক এখানে মোতায়েন করেছিল। সমুদ্র সুরক্ষা এবং বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষার জন্য ভারতের সাহায্যের জন্য ভারতীয় সেনার একটা অংশ মালদ্বীপে মোতায়েন করা হয়েছিল। গত বছর নভেম্বরে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের তরফে জারি বয়ান থেকে বলা হয়, "তাদের দেশবাসীর গণতান্ত্রিক ইচ্ছাকে সম্মান করবে ভারত এমটাই তাঁরা আশাবাদী।"

শনিবার চিনের ৫ দিনের যাত্রা থেকে দেশে ফিরেছেন তিনি। মালদ্বীপ পৌঁছতেই বলে দিয়েছেন যে, "আমাদের দেশ ছোট হতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশকে চোখ রাঙানোর লাইসেন্স কারও কাছে নেই।" যদিও মুইজ্জু প্রত্যক্ষভাবে কারও নাম নিয়ে এই বয়ান দেননি। কিন্তু মনে করা হচ্ছে তার নিশানা ভারতের দিকে।

চিন সমর্থক বলে পরিচিত মুইজ্জু ৫ দিনের নিজের চিন সফরের সময়, রাষ্টপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি এই সফর এমন সময় শুরু করেন, যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আপত্তিজনক মন্তব্য করে মালদ্বীপ সরকারের তিন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই মামলা নিয়ে ভারত এবং মালদ্বীপের মধ্যে রাজনৈতিক সামাজিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায়।

মালদ্বীপে ভারতীয় সৈনিকদের নিয়ে কি ছিল সেই বিবাদ?

মালদ্বীপ রাজনৈতিকভাবে ভারত এবং চিন দুই দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ২০১৩ থেকে লামু এবং অদু দ্বীপে ভারতীয় সৈনিক মোতায়েন রয়েছে। ভারতীয় নৌসৈনিকও রয়েছে। ইন্ডিয়ান নেভি ১০টি কোস্টাল সার্ভিসেস রাডারও ইনস্টল করে রেখেছে। মুইজ্জু রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর ঘোষণা করেছিল যে, তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব ভারত মহাসাগরে দ্বীপ সমূহতে বিদেশী সৈন্যের উপস্থিতি বিলুপ্ত করা। গত বছর মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর অফিসিয়ালভাবে ভারতকে অনুরোধ করেছিলেন যে মালদ্বীপ থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিতে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, তিনি এটা সুনিশ্চিত করার জন্য প্রতিবদ্ধ, যে তাঁর দেশ নিজেদের স্বতন্ত্রতা এবং গণতন্ত্র বজায় রাখতে সক্ষম এবং বিদেশী সৈন্য উপস্থিতি থেকে মুক্ত।

Advertisement

মুইজ্জুর সফর নিয়ে বিতর্ক কেন?

মইনুর এই চিন সফর প্রথম অফিশিয়াল সফর। এই সফর এমন সময় হয়েছে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লাক্ষাদ্বীপ সফর করেছিলেন এবং তাঁর ছবিতে মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু আপত্তিজনক মন্তব্য করেন। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়াতে এই মামলা নিয়ে ঝড় উঠে যায়। এরপর ওই তিন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করে মালদ্বীপ সরকার। পরে ভারতে অবস্থিত মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূতকে বিদেশমন্ত্রক তলব করে এবং মামলায় আপত্তি জাহির করে। এর মধ্যে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক মত পার্থক্য শুরু হয়। মালদ্বীপে নতুন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জু নিজের ইলেকশান ম্যানিফেস্টোতে প্রায় ৭৫ ভারতীয় সৈনিকের একটা ছোট দলকে সরিয়ে দেওয়ার সংকল্প নিয়েছিলেন। ভারতীয় সৈনিককে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ভারত এবং মালদ্বীপের দুই দেশের একটা ছোট কোর গ্রুপ তৈরি করা হয়। 'ইন্ডিয়া আউট' নামে তিনি মালদ্বীপের 'ইন্ডিয়া ফাস্ট' পলিসি বদল করার কথা বলেছিলেন। যখন ভারত এবং চিন দুই প্রভাব জানানোর জন্য আগ্রহী।

কী নিয়ে এই বিবাদ?

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী মোদী লাক্ষাদ্বীপ সফর করেন এবং তা সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তারপর মালদ্বীপের সরকারের তিন মন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী এই সফর নিয়ে কিছু ছবির উপর আপত্তিজনক মন্তব্য করে। এর পরেই দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক বিবাদ শুরু হয়। এ মামলায় বিবাদ বাড়ার পরে তিন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement