পাঁচ দিনের চিন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। মালদ্বীপে ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে আমাদেরকে হুমকি দেওয়ার লাইসেন্স কারও নেই। মুইজ্জু বলেন, 'আমরা একটি ছোট দেশ হতে পারি। কিন্তু এটি কাউকে আমাদের হুমকি দেওয়ার লাইসেন্স দেয় না।' তবে মুইজ্জু সরাসরি কারো নাম নিয়ে এই মন্তব্য করেননি। তবে ধারণা করা হচ্ছে তাঁর লক্ষ্য ভারতের দিকে। চিনপন্থী বলে বিবেচিত মুইজ্জু তাঁর পাঁচ দিনের চিন সফরে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করার জন্য মালদ্বীপ সরকারের তিন মন্ত্রীকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর তিনি বেজিং সফরে যান। এ নিয়ে ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে কূটনৈতিক বিরোধ বাড়ছে
চিনকে কাতর আবেদন
সোশ্যাল মিডিয়ায় 'মালদ্বীপ বয়কট' ট্রেন্ডিং হতেই মুইজ্জু চিনের কাছে আবেদন বেশি করে পর্যটক পাঠানোর জন্য। মালদ্বীপ বিজনেস ফোরামে ভাষণ দেওয়ার সময় মুইজ্জু বলেছেন যে কোভিডের আগে আমাদের দেশে আসা বেশিরভাগ পর্যটক চিন থেকে এসেছিলেন। আমি অনুরোধ করছি যে চিনকে আবার এটি করার জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করা উচিত।
কেন মইজ্জুর প্রথম চিন সফর বিতর্কিত ছিল?
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে এই প্রথম চিনে গিয়েছিলেন মুইজ্জু। এই সফর এমন এক সময়ে হয়েছিল যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফরের ছবি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী। এরপর বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন তোলে। বিষয়টি জোরদার হলে মালদ্বীপ সরকার অভিযুক্ত তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে। পরে, বিদেশ মন্ত্রক ভারতে মালদ্বীপের হাইকমিশনারকে তলব করে এবং এই বিষয়ে তীব্র আপত্তি জানায়।
এদিকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে
মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে প্রায় ৭৫ জন ভারতীয় সেনার একটি ছোট দলকে সরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনার জন্য ভারত ও মালদ্বীপ একটি কোর গ্রুপ গঠন করেছে। মুইজ্জুর স্লোগান ছিল 'ইন্ডিয়া আউট'। মালদ্বীপের 'ইন্ডিয়া ফার্স্ট পলিসি'-তে পরিবর্তন আনার কথাও বলেছেন তিনি। যেখানে ভারত ও চিন উভয়েই মালদ্বীপে প্রভাব প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিযোগিতা করছে।
কী বিতর্ক
প্রধানমন্ত্রী মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফরের পর মালদ্বীপ সরকারের তিন মন্ত্রী আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক বিরোধ আরও গভীর হয়। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক বাড়ার পর এই তিন মন্ত্রীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।