Advertisement

Pakistan : সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের ক্ষমতা বাড়াতে সংশোধনী আনছে শেহবাজ সরকার, প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান

শেহবাজ শরিফের সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামল পাকিস্তানের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের ক্ষমতা আরও বাড়ানোর পক্ষপাতি শেহবাজ শরিফ। সেজন্য উল্লেখযোগ্য সংশোধনীও আনতে চলেছে তারা।

asim munir, Mian Muhammad Shehbaz Sharifasim munir, Mian Muhammad Shehbaz Sharif
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 09 Nov 2025,
  • अपडेटेड 5:28 PM IST
  • শেহবাজ শরিফের সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামল পাকিস্তানের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো
  • পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের ক্ষমতা আরও বাড়ানোর পক্ষপাতি শেহবাজ শরিফ

শেহবাজ শরিফের সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামল পাকিস্তানের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের ক্ষমতা আরও বাড়ানোর পক্ষপাতি শেহবাজ শরিফ। সেজন্য উল্লেখযোগ্য সংশোধনীও আনতে চলেছে তারা। তারই প্রতিবাদে এদিন বিক্ষোভে হয়। প্রতিবাদীদের অভিযোগ, 'মুনিরের ক্ষমতা এত বেশি বাড়ালে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে।' 

প্রস্তাবিত ২৭ তম সাংবিধানিক সংশোধন হলে পাকিস্তানের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ভারসাম্য বিঘ্নিত হবে ও সেনাবাহিনীর ক্ষমতা প্রভূত বেড়ে যাবে বলে দাবি করছেন সেই দেশের আইন প্রণেতাদের একাংশ। এই সংশোধনীর ফলে ৩ সেনা অর্থাৎ স্থল, জল ও বায়ুর প্রধান হবেন আসিম। 

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের এক নেতা বলেন, 'এই সংশোধনী অনুসারে ফিল্ড মার্শাল মুনির আজীবন সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তাঁর বিরুদ্ধে কেউ কোনওদিন মামলা দায়ের করতে পারবে না। অর্থাৎ তাঁকে আইন-শাসনের ঊর্ধ্বে জায়গা দেওয়া হবে। আসলে মুনির নিজের অপকর্মের জন্য এতটাই ভীত যে চারপাশে একটা প্রতিরক্ষার পাঁচিল তৈরি করতে চাইছেন। তাঁর লক্ষ্য হল কোনওদিন যাতে তাঁকে হাজতবাস করতে না হয়।' 

রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাবিব আকরাম দাবি করেন, এই সংশোধনীর উদ্দেশ্য হল সরকারকে সমালোচনার ঊর্ধ্বে জায়গা দেওয়া। এই সংশোধনী পাশ হয়ে গেলে রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে যারা ক্ষমতায় থাকবে তাদের উপর দেশের আইনকানুন বলবৎ করা যাবে না। তার জেরে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হবে। দেশের অর্থনীতি ক্ষতির মুখে পড়বে। 

সংবিধানের এই সংশোধনীর প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে পাকিস্তানে। আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারা বিলটি গত শনিবার সংসদে পেশ করেন। আরও আলোচনার জন্য তা একটি কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। সোমবারের মধ্যেই এই বিল নিয়ে ভোটভুটি হতে পারে। পাশ হওয়ার জন্য সরকারের প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা (কমপক্ষে ৬৪ জন সিনেটর) প্রয়োজন। 

পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই সংশোধনী পাশ হয়ে গেলে পাকিস্তানে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে। সেই সুরে সুর মিলিয়ে তেহরিক-ই-তাহাফুজ আয়েন-ই-পাকিস্তান দেশজুড়ে সরকার বিরোধী অভিযানের ডাক দিয়েছে।  

Advertisement

কেবল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা নন, আইনজীবীরাও সরকারের এই চেষ্টাকে সর্বনাশা বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁদের দাবি, এই সরকার কোর্ট ও সংবিধানকে অকেজো করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই সংশোধনী কার্যকর হলে সরকারের নেতা, মন্ত্রীরা আইনের আওতায় আর থাকবেন না। 

Read more!
Advertisement
Advertisement