Advertisement

Pakistan Floods: হড়পা বান-ধস-বন্যা, পাকিস্তানে দু'দিনেই শয়ে শয়ে মৃত্যু

বন্যায় বহু বাড়িঘর, গাড়ি, স্কুল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি কারাকোরাম হাইওয়ে এবং বালতিস্তান হাইওয়ে সহ বিভিন্ন স্থানে ধসের জেরে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

হড়পা বান-ধস-বন্যা, পাকিস্তানে দু'দিনেই শয়ে শয়ে মৃত্যুহড়পা বান-ধস-বন্যা, পাকিস্তানে দু'দিনেই শয়ে শয়ে মৃত্যু
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 16 Aug 2025,
  • अपडेटेड 4:04 PM IST
  • বন্যায় ৩০০ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছেন
  • যার মধ্যে বুনারে কমপক্ষে ১৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে

প্রবল বৃষ্টি ও তার জেরে হড়পা বানের কারণে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩০০ জনেরও বেশি ছাড়িয়েছে। শুক্রবারই মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় হড়পা বান দেখা দেয়। তাতে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। সরকারি মুখপাত্র ফৈজি বলেছেন যে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বাজাউর, বুনের, সোয়াত, মানাইহরা, শাংলা, তোরঘর এবং বাটাগ্রাম জেলায় বন্যায় ৩০০ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছেন। যার মধ্যে বুনারে কমপক্ষে ১৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শাংলায় ৩৬ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। এছাড়াও মানসেহরায় ২৩, সোয়াতে ২২, বাজাউরে ২১, বাটাগ্রামে ১৫, লোয়ার দিরে ৫ জন এবং অ্যাবোটাবাদে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার, পিডিএমএর মুখপাত্র বলেছিলেন যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে এখনও অনেক মানুষ নিখোঁজ থাকায় মৃত বা আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যার জল নামলেই মৃত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা জানা যাবে।

বন্যায় বহু বাড়িঘর, গাড়ি, স্কুল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি কারাকোরাম হাইওয়ে এবং বালতিস্তান হাইওয়ে সহ বিভিন্ন স্থানে ধসের জেরে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। উত্তর-পূর্ব নীলম উপত্যকাও বড় ধরনের ধস নেমেছে। লাওয়াত নালার উপর দুটি সংযোগকারী সেতুও ভেসে গিয়েছে। জাগরণ নালা কুন্ডাল শাহিতে একটি সেতু ভেসে গিয়েছে। ঝিলম উপত্যকায় পালহোটে হড়পা বানের ফলে রাস্তার কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যাতে কয়েক ডজন গাড়ি আটকে পড়ে। নীলম নদীর জল দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন বন্যার সতর্কতা জারি করেছে।

আরও পড়ুন

পাকিস্তানের আবহাওয়া দফতর ২১ অগাস্ট পর্যন্ত খাইবার পাখতুনখোয় প্রদেশে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। বুনের জেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ১,১২২টি উদ্ধারকারী দল বুনের জেলায় আকস্মিক বন্যার পর ৩০০ স্কুল-ছাত্র সহ ২,০৭১ জন আটকে পড়া মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। ডেপুটি কমিশনার কাশিফ কাইয়ুম জানিয়েছেন, দুর্যোগ কবলিত এলাকায় ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। পুরো জেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement