মায়ানমারে ভূমিকম্পের রেশ যেন কাটছে না। এখনও মানুষ মারা যাচ্ছে সেই দেশে। নিখোঁজও রয়েছেন শতাধিক মানুষ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শুক্রবারের ভূমিকম্পের জেরে মায়ানমারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৫৬। আহত প্রায় ৩৯০০ জন। নিখোঁজ ২৭০ জনেরও বেশি। সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মায়ানমারে টানা সাতদিন শোকদিবস পালন করা হবে। সামরিক জুন্টা সরকারের বিরোধী গোষ্ঠী সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজ যাতে সুষ্ঠু ভাবে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ। জুন্টা সরকারের তরফে জোর কদমে চলছে উদ্ধারকার্য। ইতিমধ্যেই বহু ধ্বংসস্তূপ থেকে অনেকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও বহু জায়গা ধ্বংসস্তূপের নিচে। সেখানে কেউ আটকে রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেনাবাহিনী কাজ করছে পুরোদমে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মায়ানমার। তার পর কয়েক মিনিটের ব্যবধানে আফটারশক হয় ৬.৭ মাত্রার। ওই দিন ১০ ঘণ্টায় পর পর ১৪টি আফটারশক হয়। ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানায় জুন্টা সরকার। মায়ানমারে সাহায্য পাঠাতে শুরু করে নানা দেশ। ভারতের তরফেও বহু ত্রাণ সামগ্রী ও সাহায্য পাঠানো শুরু হয়।
শুক্রবার থেকেই দেহ উদ্ধারের কাজ শুরু হলেও তা এখনও চলছে। রবিবারও ১৮ জনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। সোমবার ব্যাঙ্কক থেকে আরও ৭৬ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। একটি বহুতলের নিচে তাঁরা চাপা পড়েছিলেন।
২০২১ সালে মায়ানমারে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল সামরিক জুন্টা সরকার। পিডিএফ সেই থেকে তাদের বিরুদ্ধে লড়ছে। পিডিএফ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নানা জায়গায় ত্রাণ সামগ্রী পাঠাতে পারছে সেই দেশের সরকার।