Nepal Flood Landslide: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত নেপাল। পাহাড়ি এলাকা থেকে উপত্যকা, সব জায়গাতেই চলছে দুর্যোগ। এক দিকে ভূমিধস, অন্য দিকে আকস্মিক বন্যা ও তুষারপাতের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক রাস্তা। ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। এমনকি দেশের ভিতরে বিমানের গতিবিধিতেও টানা প্রভাব পড়ছে।
নেপালের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিভাগ জানিয়েছে, এই দুর্যোগ অব্যাহত থাকতে পারে অন্তত ৬ অক্টোবর পর্যন্ত। ফলে আশঙ্কা বাড়ছে আরও বিপদের।
কাঠমাণ্ডু উপত্যকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আগাম সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। রাজধানীতে আপাতত শুধু জরুরি পরিষেবার গাড়িগুলিকেই ছাড় দেওয়া হয়েছে। বাকি যানবাহনের চলাচল সীমিত করা হয়েছে সাময়িকভাবে। অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবাও প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে। যদিও আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা এখনও চালু রয়েছে।
এই আবহাওয়াজনিত বিপর্যয়ের মধ্যেও বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে নেপাল ট্যুরিজম বোর্ড। বিশেষ নির্দেশিকা জারি করে পর্যটকদের সাবধান থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আবহাওয়ার নিয়মিত সরকারি আপডেট অনুসরণ করার পাশাপাশি শুধুমাত্র অনুমোদিত ট্রাভেল কোম্পানি ও গাইডের সঙ্গেই সফরে বের হতে হবে। যাত্রার আগে গন্তব্য ও রাস্তার পরিস্থিতিও যাচাই করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শুধু পর্যটকই নয়, বিভিন্ন ট্যুর অপারেটর এবং ডেস্টিনেশন ম্যানেজমেন্ট সংস্থাকেও সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। পর্যটকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের। একই সঙ্গে গাইড ও গাড়িচালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ চালানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদেরও সতর্ক থাকতে এবং প্রশাসনকে সাহায্য করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে নেপালে প্রায় ২০ হাজার বিদেশি পর্যটক অবস্থান করছেন। কেউ বিপদে পড়লে যাতে দ্রুত খাদ্য, আশ্রয় বা প্রয়োজনীয় সাহায্য মিলতে পারে, সে জন্যই এই সমন্বয় প্রচেষ্টা চলছে।
নেপাল ট্যুরিজম বোর্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশের বর্তমান প্রাকৃতিক পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রেখে পর্যটকদের সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন, উদ্ধার সংস্থা ও সাধারণ মানুষের সম্মিলিত চেষ্টায় পরিস্থিতি মোকাবিলার কাজ চলছে পুরোদমে।