নেপালের Gen Z আন্দোলনের এখনও রেশ কাটেনি। ঘটনার প্রায় ১০ দিন পর প্রকাশ্যে এলেন নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী KP Sharma Oli। শুক্রবার তিনি দাবি করলেন, তাঁর সরকারের তরফে কোনও দিনই গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বরং তাঁর কথায়, 'যারা গুলি চালিয়েছে, তারা পুলিশের লোক ছিল না। অটোম্যাটিক, অত্যাধুনিক বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছে, যা পুলিশের হাতে থাকে না। এর তদন্ত হওয়া উচিত।'
ওলির অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে ইচ্ছে করে ‘বহিরাগতদের’ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর দাবি, আন্দোলনকে পরিকল্পনা করে হিংসাত্মক পথে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর তার ফলেই প্রাণ হারাতে হয়েছে নিরীহ যুবকদের। তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, এই ঘটনার পেছনে একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে। তিনি দাবি করেন, 'পুরোটাই সময়ের সঙ্গে স্পষ্ট হবে।'
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর পদত্যাগের পর আন্দোলনকারীরা কাঠমাণ্ডুর সিংহদরবার সচিবালয়ে আগুন লাগায়। তাঁর নিজের বাড়িতেও হামলা হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় নেপালের মানচিত্র। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সরকারি দফতরেও আগুন দেওয়া হয়। এর জেরে ওলিকে নিরাপত্তার কারণে সেনা হেলিকপ্টারে করে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ছাড়তে হয়। প্রথমে তাঁকে রাখা হয় সেনার ঘাঁটিতে। পরে তিনি গোপনে একটি ভাড়া বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন।
ঘটনার প্রেক্ষিতে ওলি ফের মনে করালেন, কীভাবে নেপালের সংবিধানকে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও কার্যকর করতে হয়েছিল। তাঁর কথায়, 'আমাদের সংবিধানের উপরে হামলা হচ্ছে। জাতীয় সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে আঘাত আসছে। সব প্রজন্মকে একসঙ্গে মিলে এর মোকাবিলা করতে হবে।'
প্রসঙ্গত, ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বরের হিংসাত্মক আন্দোলনে অন্তত ৭০ জনের প্রাণ গিয়েছে। এর মধ্যে তিনজন পুলিশও রয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে যে আগুন জ্বলেছিল, তা এখনই নিভছে না। আর তার মাঝেই কেপি শর্মা ওলির এই দাবিতে নতুন করে বিতর্ক ছড়িয়েছে।