Advertisement

Nepal India Investment: নেপালের বিক্ষোভে থমকাল ভারতের একাধিক প্রকল্প, ফেঁসে গেল কত কোটি?

Nepal India Investment: নেপালের বিদেশি বিনিয়োগের মধ্যে প্রায় ৩৫ শতাংশ আসে ভারত থেকে।  নেপাল রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্ক অনুযায়ী, জুলাই ২০২৩‑এ ভারত থেকে বিনিয়োগ ছিল প্রায় ৭৫৫.১২ মিলিয়ন ডলার। 

নেপালের বিক্ষোভে থমকাল ভারতের একাধিক প্রকল্প, ফেঁসে গেল কত কোটি?নেপালের বিক্ষোভে থমকাল ভারতের একাধিক প্রকল্প, ফেঁসে গেল কত কোটি?
Aajtak Bangla
  • কাঠমান্ডু,
  • 12 Sep 2025,
  • अपडेटेड 6:17 PM IST

Nepal India Investment: নেপালে সম্প্রতি “Gen Z রেভলিউশন” নামে যে বিক্ষোভ চলছে, তাতে ভারতের হাইড্রোপাওয়ার, ইনফ্রাস্ট্রাকচার আর ট্রেড‑প্রকল্পগুলোর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা বাড়ছে। সরকারি ও প্রাইভেট কোম্পানির কোটি কোটি টাকা নেপালের নানা প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হয়েছে এবং শান্তি নষ্ট হলে এসব প্রকল্প আটকে যেতে পারে। তাছাড়া, বেসিক ইন্ফ্রাস্ট্রাকচারও পিছিয়ে পড়বে।

নেপালের বিদেশি বিনিয়োগের মধ্যে প্রায় ৩৫ শতাংশ আসে ভারত থেকে।  নেপাল রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্ক অনুযায়ী, জুলাই ২০২৩‑এ ভারত থেকে বিনিয়োগ ছিল প্রায় ৭৫৫.১২ মিলিয়ন ডলার। 

নেপালে প্রায় ১৫০টিরও বেশি ভারতীয় সরকারী ও বেসরকারি কোম্পানি কাজ করছে, উৎপাদন, সেবা (ব্যাংক, বিমা, বন্দর, শিক্ষা, টেলিকম), শক্তি ও পর্যটন খাতে।

আরও পড়ুন

ভারতের বড়‑বড় প্রকল্পগুলোর তালিকা এবং ঝুঁকি
নীচে কয়েকটি প্রকল্পের নাম ও বিনিয়োগের পরিমাণ দেওয়া হলো, যেগুলো বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকতে পারে।

অরুণ-৩ হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্প
প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ, ৯০০ মেগাওয়াটের এই প্রকল্প ভারতের সরকারী কোম্পানি সত্তলুজ জলবিদ্যুৎ করপোরেশন লিমিটেড (SJVN বা সংশ্লিষ্ট) দ্বারা নির্মিত হচ্ছে। 

আপার কর্ণালি হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্প
প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ, ৯০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার, ভারতীয় বেসরকারি কোম্পানি GMR প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। 
লোয়ার অরুণ হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্প। প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ, ৬৬৯ মেগাওয়াটের এই প্রকল্পটি সরকারী কোম্পানি SJVN পরিচালনায় আছে। 

ক্রস‑বর্ডার ট্রান্সমিশন লাইন
ভারতীয় কোম্পানির কয়েকটি লাইন‑ইন‑ক্রেডিট ও যৌথ উদ্যোগে ৫‑৯ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। মোতিহারি‑আমলেখগঞ্জ পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন, নেপালের পেট্রোলিয়াম সরবরাহ বর্তমানে ভারতে পেট্রোল ট্যাঙ্কার গাড়ির ওপর নির্ভর; এই পাইপলাইন পুরোপুরি হলে ঝামেলা ও ঝুঁকি কমবে। 

আরও কিছু প্রকল্প আছে যেমন West Seti + SR6 (১২০০ মেগাওয়াট) ও Fukot‑Karnali (৪৮০ মেগাওয়াট) জলবিদ্যুৎ প্রজেক্ট যেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে চুক্তিবদ্ধ, কিন্তু বিক্ষোভ বা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে এগুলোতে কাজ ব্যাহত হতে পারে। 

অশান্তি বাড়লে আর কি কি হতে পারে?
এসব প্রকল্পের কাজ বন্ধ হওয়া বা বিলম্ব হওয়া যে সম্ভাবনা, তা বড়। কারিগরি কর্মীরা কাজ করতে পারবেন না, সরবরাহ ও যাতায়াত বাধাগ্রস্ত হবে। বিদেশি বিনিয়োগের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে, বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি বিবেচনায় আবার ভাবতে শুরু করতে পারেন।

Advertisement

নেপালের সরকারী রাজস্ব, কর্মসংস্থান, রপ্তানি আয়সব কিছুতে প্রভাব পড়বে, কারণ অনেক প্রকল্প দেশের ভিতর থেকে কাজ শুরু হয়েছে ও বিদেশি অংশীদার রয়েছে।

ব্যালেন্স‑অফ‑পেমেন্ট জনিত বাণিজ্যেও ঝুঁকি বাড়বে, কারণ ভারত এবং নেপালের মধ্যে পণ্য ও পরিষেবা আদান‑প্রদান বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে।

পরিকাঠামোগত উন্নয়ন যেমন সড়ক, শক্তি, যোগাযোগ ও বিমানবন্দর সবই পিছিয়ে পড়তে পারে। যে এলাকায় ভারতীয় বিনিয়োগ বেশি, সেখানে সমাজ‑অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি।

সংক্ষেপে বলতে গেলে, নেপাল‑ভারত সম্পর্কের এই বিনিয়োগ ও প্রকল্পগুলো দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপুর্ণ। যদি নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় না থাকে, তাহলে শুধু টাকা নয়, প্রকল্পের ভবিষ্যৎ ও স্থানীয় মানুষের জীবনমানও হুঁশিয়ার হবে। ভারতকে নেপালের নতুন রাজনৈতিক অবস্থার দিকে নজর দিতে হবে, যাতে এই উদ্যোগগুলি বাধামুক্ত সম্পন্ন হতে পারে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement