Advertisement

Nepal Protests: নেপালে রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে অশান্তি বাড়ছে, আন্দোলনকারীদের 'আল্টিমেটাম' কমিউনিস্ট সরকারের

নেপালে বিশৃঙ্খলা: সহিংসতার পর ওলি সরকারের কঠোর ব্যবস্থা, রাজতন্ত্র সমর্থকরা ৩ এপ্রিল পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিলেন

Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 30 Mar 2025,
  • अपडेटेड 6:36 PM IST

নেপালে রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। গত শুক্রবার আন্দোলন কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবার রাজতন্ত্রের দাবিদারদের হুঁশিয়ারি দিল সরকার। প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি-র কমিউনিস্ট সরকার জানিয়েছে, আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময়। তার মধ্যে অশান্তি বন্ধ না হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

কমিউনিস্ট সরকার সরিয়ে রাজতন্ত্রের দাবি

২০০৮ সালে নেপালে রাজতন্ত্রের অবসান হয়েছিল। সেই সময় থেকেই নেপাল ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। তার আগে ২৩৯ বছর ধরে নেপালে রাজতন্ত্র ছিল। অর্থাৎ, মাত্র ১৫-১৬ বছর যেতে না যেতেই নেপালের জনগণের একাংশ কমিউনিস্ট সরকারের বিদায় চাইছে। ফেরাতে চাইছে শতাব্দী প্রাচীন রাজতন্ত্রকে। এই নিয়ে রীতিমতো বিক্ষোভ, আন্দোলনের পরিবেশ নেপালে। শুক্রবার আন্দোলন চরমে পৌঁছায়। বিক্ষোভকারীদের দমন করতে গেলে অশান্তি আরও বাড়ে। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো হাতাহাতি হয় উত্তেজিত জনতার। 

প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্রের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ

বিক্ষোভের পর নেপালের ওলি সরকার প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়। সম্প্রতি জ্ঞানেন্দ্র শাহ নেপালের বিভিন্ন প্রান্তে সফর করেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি হঠাৎ নেপালবাসীর সমর্থন চেয়ে বসেন। বিষয়টি মোটেও ভাল চোখে দেখেনি ওলি সরকার।এরপর থেকেই তাঁর উপর নজরদারি বাড়ে।

শুক্রবারের হিংসার ঘটনার পরে জ্ঞানেন্দ্র শাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেও বড় পরিবর্তন আনা হয়। এতদিন সরকার তাঁকে ২৫ জন দেহরক্ষী দিত। হঠাৎ তা কমিয়ে ১৬ জন করে দেওয়া হয়। 

রাজাকে জরিমানা 

কাঠমাণ্ডু পুরসভার জানায়, শুক্রবারের হিংসার কারণে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার মাশুল দিতে হবে রাজা জ্ঞানেন্দ্রকে। তাঁকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে। নেপালি টাকায় ৭.৯৩ লাখ। বিক্ষোভ আন্দোলনে যে যে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে, তার দামও দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। সরকারের এই পদক্ষেপে আরও ক্ষিপ্ত হয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ

শুক্রবারের সংঘর্ষে বহু সরকারি সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি দফতর, বিল্ডিং এবং সরকারি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় প্রশাসনকে। 

Advertisement

বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছবি, ভিডিও ফুটেজ দেখে এবং গোয়েন্দাদের তথ্য নিয়ে বিক্ষোভকারীদের খোঁজা হচ্ছে। 

Read more!
Advertisement
Advertisement