নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানালের স্ত্রী রাজলক্ষ্মী খানালকে পিটিয়ে, পুড়িয়ে মারা হয়। বিক্ষোভকারীরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। তাঁর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেনাবাহিনী উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে কীর্তিপুর বার্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনাটি ঘটে নেপালের ডাল্লুতে তাঁর বাসভবনে। যেখানে বিক্ষোভকারীরা তাঁকে ঘরের ভিতরে আটকে রেখে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে পরিবারের অভিযোগ। সেনাবাহিনী তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর প্রয়াণ হয়।
নেপালে বিক্ষোভকারীরা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা এবং বিদেশমন্ত্রী অর্জুন রানা দেউবাকে ধাওয়া করে। এরপর বেধড়ক মারধর করে। এছাড়াও, উপপ্রধানমন্ত্রী বিষ্ণু প্রসাদ পৌডেলকেও বেধড়ক মারধর করে আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষোভকারীরা মন্ত্রী দীপক খাড়কারের বাড়িটি টার্গেট করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের বাসভবনে হামলা চালাচ্ছে এবং পুলিশ তাদের থামাতে হিমশিম খাচ্ছে।
বিমানবন্দরে হেলিকপ্টারের ঝাঁক
নেপালে জেন জি বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিনে হিংসা চরমে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে, কাঠমান্ডুর বাগমতির ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (টিআইএ) উপরে ঝাঁকে ঝাঁকে হেলিকপ্টার আসে। কেপি শর্মা ওলি, তার মন্ত্রিসভার সদস্য এবং আরও অনেক নেতাকে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, ওলি দুবাই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। নেতাদের পালানোর জন্য হেলিকপ্টার সরবরাহের অভিযোগে সিমরিক এয়ারলাইন্স ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
ভাইসেপতিতে নেপাল সরকারের মন্ত্রীদের জন্য নির্মিত বাসভবন থেকে প্রায় এক ডজন হেলিকপ্টার ত্রিভুবন বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। বিমানবন্দরের সুরক্ষার জন্য নেপাল সেনাবাহিনী বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে। বিরোধীরা নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানাচ্ছে। বিক্ষোভের কারণে নেপালে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। ভারতীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগো তাদের দিল্লি-কাঠমান্ডু বিমান বাতিল করেছে।