Advertisement

India Pakistan: পরমাণু অস্ত্রের নিয়ন্ত্রক অথরিটির সঙ্গে কোনও মিটিং হচ্ছে না: পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। এর মধ্যেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Pakistan Prime Minister Shehbaz Sharif) ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির ( National Command Authority) একটি জরুরি সভা ডেকেছেন।

পরমাণু অস্ত্রের নিয়ন্ত্রক অথরিটির সঙ্গে কোনও মিটিং হচ্ছে না: পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পরমাণু অস্ত্রের নিয়ন্ত্রক অথরিটির সঙ্গে কোনও মিটিং হচ্ছে না: পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 10 May 2025,
  • अपडेटेड 12:03 PM IST
  • ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল
  • এর সদর দফতর ইসলামাবাদে অবস্থিত

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। এর মধ্যেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Pakistan Prime Minister Shehbaz Sharif) ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির ( National Command Authority) একটি জরুরি সভা ডেকেছেন।  যা ভারতের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানের ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি (এনসিএ) হল দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক ও সামরিক সংস্থা, যা পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি এবং কৌশলগত সম্পদ সম্পর্কিত কমান্ড, নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের জন্য দায়ী। যদিও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ দাবি করেছেন যে সরকারের পরমাণু অস্ত্রের নিয়ন্ত্রক অথরিটির সঙ্গে কোনও মিটিংয়ের পরিকল্পনা নেই।

ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি কী?

ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এর সদর দফতর ইসলামাবাদে অবস্থিত। এনসএ পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা নীতি এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আরও পড়ুন

পহেলগাঁও হামলার জবাবে ভারত পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুরের অধীনে হামলা চালায়। জঙ্গিদের আস্তানা ধ্বংস করে। ৮ মে লাহোরে পাকিস্তানের HQ-9 বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে। জবাবে, গতকাল রাতে পাকিস্তান ফতেহ-১ মিসাইল ছোড়ে। যা ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, পাকিস্তানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কৌশল নিয়ে আলোচনা এবং প্রতিশোধের পরিকল্পনা করার জন্য এনসিএ সভা ডাকা হতে পারে। এনসিএ-র প্রধান দায়িত্বের মধ্য়ে রয়েছে পরমাণু ও মিসাইল নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, নীতি নির্ধারণ ও মিসাইল কর্মসূচি তত্ত্বাবধান করা।

এনসিএ-তে কে কে রয়েছেন

এনসিএ-র সভাপতিত্ব করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এবং এর সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী ইসহাক দার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন রাজা নকভি, অর্থমন্ত্রী মহম্মদ ঔরঙ্গজেব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ, জয়েন্ট স্টাফ কমিটির প্রধান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা, সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ ও বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবর।

Advertisement

এনসিএ-র সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় ঐক্যমত্য বা ভোটদান জড়িত। যেখানে প্রতিটি সদস্যের একটি করে ভোট দেওয়ার অধিকার থাকে। কৌশলগত পরিকল্পনা বিভাগ (SPD) তার নীতি বাস্তবায়নের জন্য দায়ী, যার নেতৃত্বে একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদমর্যাদার কর্তা থাকেন। এনসিএ-র সভাপতিত্ব করতেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি। তবে, ২০০৯ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর চেয়ারম্যান পদ হস্তান্তর করেন। 

এনসিএ-র গুরুত্ব

  • এনসিএর মূল লক্ষ্য হল পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র এবং কৌশলগত মিসাইলের ব্যবহার, উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ করা। 
  • এই কর্তৃপক্ষ নিম্নলিখিত বিষয়গুলির জন্য দায়ী
  • পারমাণবিক নীতি: পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার এবং স্থাপনার নীতি নির্ধারণ।
  • ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি: ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন এবং স্থাপনার তত্ত্বাবধান করেছেন।
  • কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ: যুদ্ধ বা সামরিক সংকটের সময় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া।
  • নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ: পারমাণবিক অস্ত্রের সুরক্ষা এবং অননুমোদিত ব্যবহার রোধ করা।

Read more!
Advertisement
Advertisement