না, ডোনাল্ড ট্রাম্প নয়। ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতে নিলেন ভেনিজুয়েলার মারিয়া কোরিনা মাচান্দো। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাঁর নিরন্তর প্রচেষ্টার কারণেই তাঁকে এই সম্মান প্রদান করা হল বলে জানিয়েছে নোবেল কমিটি। শুক্রবার নরওয়ের রাজধানী ওসলোতে নোবেলের মঞ্চে ঘোষিত হয় এই মহিলার নাম।
নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপক মারিয়া কোরিনা মাচান্দো ভেনিজুয়েলার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছেন। শান্তিপূর্ণ এবং ন্যায়সঙ্গত ভাবে ভেনিজুয়েলাতে একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় এই মারিয়ার অবদান অপরিসীম বলেও উল্লেখ করেছে নোবেল কমিটি।
গত এক বছর ধরে মারিয়া কোরিনা মাচান্দোকে অজ্ঞাতবাসে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। তাঁর প্রাণনাশের ঝুঁকি রয়েছে। তা সত্ত্বেও দেশত্যাগ করেননি মারিয়া। তাঁর সেই আত্মত্যাগ লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে, লড়াইয়ে উৎসাহ জুগিয়েছে।
নোবেল কমিটি মারিয়ার প্রশংসায় উল্লেখ করেছে, যখন স্বৈরাচারী শাসকেরা ক্ষমতা দখল করে, তখন স্বাধীনতার লক্ষ্যে এগিয়ে আসা সাহসী রক্ষকদের চিনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে ওঠে। সেই মানুষগুলো, যারা উঠে দাঁড়ায় এবং প্রতিরোধ করে, তাঁদের চিহ্নিত করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। গণতন্ত্র নির্ভর করে সেইসব মানুষের উপর, যারা নীরব থাকতে অস্বীকার করে, যারা গুরুতর বিপদের মুখেও সাহস করে এগিয়ে আসে, এবং আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, স্বাধীনতাকে কখনওই অবহেলা করা যায় না। একে সর্বদা রক্ষা করতে হয়, শব্দ দিয়ে, সাহস দিয়ে এবং দৃঢ় সংকল্প নিয়ে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেছেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার তাঁকেই দেওয়া উচিত। তিনিই যোগ্য এই পুরস্কারের জন্য। তিনি গাজা-ইজরায়েল, রাশিয়া-ইউক্রেন, ভারত-পাকিস্তান সহ ৮টি যুদ্ধ থামানোর দাবি করেছেন। ফলে নোবেল তাঁরই প্রাপ্য। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'ওবামা একটা শান্তি পুরস্কার পেয়ে গেল কিছু না করেই। জানতেই পারল না কেন পেল। এমনি এমনিই নির্বাচিত হয়ে গেল। দেশ ধ্বংস ছাড়া কো কিছুই করেননি উনি।'