এ বার পরমাণু শক্তিভাণ্ডারকে আরও শক্তিশালী করার নির্দেশ দিলেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন। তিনি মনে করেন, পরমাণু অস্ত্রই দেশের জন্য 'ঢাল ও তরোয়াল' হয়ে উঠতে পারে। শুধু তাই নয়, এক পা এগিয়ে তিনি মনে করেন, 'পারমাণবিক পাল্টা আঘাতই' তার দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য ঢাল হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আর শুক্রবার এই বিষয়টি নিয়েই কিম দেশের প্রথমসারির বিজ্ঞানীদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হং স্যুং মু। এই মানুষটি উত্তর কোরিয়ার একজন শীর্ষস্থানীয় অফিশিয়াল। এছাড়া হং স্যুং মু-কেই উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচির মূল কারিগর বলে মনে করা হয়।
এই বৈঠকে কিম জং উন জানান, এখন থেকে পারমাণবিক উপাদান ও অস্ত্র বিষয়টাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এটাই দেশকে বাঁচাতে পারে। রক্ষা করতে পারে বিদেশি আগ্রাসন থেকে।
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (KCNA) কথা অনুযায়ী, পারমাণবিক শক্তিকে মেরুদণ্ড করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সাউথ কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, কিম জানিয়েছেন, দেশের নিউক্লিয়ার ওয়েপনস রিসার্চ ইনস্টিটিউট ইতিমধ্যেই কিছু 'গুরুত্বপূর্ণ কাজ' সেরে ফেলেছে। এমনকী নতুন নিউক্লিয়ার স্ট্র্যাটেজিও গ্রহণ করা হয়েছে। তবে নতুন এই স্ট্র্যাটেজি কী, সেই সম্পর্কে মুখ খোলেননি কিম জং উন।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে আরও খবর, 'কমরেড কিম জং উন বলেছেন, আমাদের অবশ্যই পারমাণবিক ঢাল ও তরোয়ালকে নিয়মিত ভাবে শান দিতে হবে। একে আধুনিক করতে হবে। দেখতে হবে যাতে তা জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, স্বার্থ এবং উন্নয়নের অধিকারকে নিশ্চিত করতে পারে।'
যদিও এই নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরেই পরমাণু অস্ত্র নিয়ে কথা বলে আসছেন কিম জং উন। আর সেই বিষয়েই তিনি আরও একবার নতুন স্ট্র্যাটেজি তৈরি করলেন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও কবে বা কখন উত্তর কোরিয়া পরমাণু শক্তির বাড়ানোর কাজ সম্পূর্ণ করবে, সেটা জানা যায়নি।
তবে কিমের এই ঘোষণার পর থেকেই সারা বিশ্বের আন্তর্জাতির সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা নড়েচড়ে বসেছেন। তাঁরা বোঝার চেষ্টা করছেন, এই ঘোষণার পর ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক কোন দিকে যায়। আবার কোনও নতুন সংঘাত তৈরি হয় কি না।