মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন যে তিনি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি আরও নিশ্চিত করেছেন, তাঁর প্রশাসন দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাধা দূর করার জন্য ভারতের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে। ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট শেয়ার করে ট্রাম্প লেখেন, আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য বাধা দূর করার জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ভালো বন্ধু বলেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আগামী সপ্তাহগুলিতে আমার খুব ভালো বন্ধু প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কথা বলার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী আমাদের দুই মহান দেশের জন্য একটি সফল সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে কোনও অসুবিধা হবে না।’
এদিকে মোদীকে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে এবার ভারতের বিরুদ্ধে একত্রিত করতে চাইছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতিমধ্যেই আমেরিকা ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে একই পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর চাপ দিচ্ছেন। মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্প EU আধিকারিকদের ভারত ও চিনের উপর ১০০% পর্যন্ত শুল্ক আরোপের দাবি জানিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা AFP একজন আমেরিকান আধিকারিক এবং একজন ইইউ কূটনীতিকের থেকে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের উপর চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মার্কিন আধিকারিক বলেন যে ট্রাম্প ভারত ও চিনের বিরুদ্ধে ব্যাপক শুল্ক আরোপের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে উৎসাহিত করছেন। ওই আধিকারিক বলেন, ভারত সহ রাশিয়ান তেল কেনার দেশগুলির উপর শুল্ক বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে আমেরিকা, তবে এটি তখনই ঘটবে যখন ইউরোপীয় ইউনিয়নও একই রকম পদক্ষেপ নেবে।
ভারতকে রুশ যুদ্ধ মেশিনের উৎস বলা হয়েছে
এএফপির রিপোর্ট অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ কর্মকর্তাদের মধ্যে কথোপকথনে ডোনাল্ড ট্রাম্প চিন ও ভারতের মতো রাশিয়ান তেল ক্রেতাদের উপর ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরামর্শ দিয়েছেন। রিপোর্টে আধিকারিকদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে , 'রাশিয়ান যুদ্ধ মেশিনের উৎস হলো চিন ও ভারতের তেল ক্রয়।'
উরোপীয় ইউনিয়নকে একত্রিত করার পরিকল্পনা
ওই আধিকারিক আরও বলেন যে ট্রাম্প 'প্রস্তুত' কিন্তু চান ইইউ আমেরিকার সঙ্গে কাজ করুক। ওয়াশিংটনে এই আলোচনায় নেতৃত্ব দেন ইইউ নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক দূত ডেভিড ও'সুলিভান। মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেস্যান্ট, বিদেশ মন্ত্রকের কর্মকর্তারা এবং মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিও এতে উপস্থিত ছিলেন। আধিকারিকরা বলেন যে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন, অন্যদিকে ট্রাম্প দূর থেকে হস্তক্ষেপ করেন।