পহেলগাঁও হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে ১৯৬০ সালের সিন্ধু নদের জলের চুক্তি তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করার সিদ্ধান্তও অন্তর্ভুক্ত। এর পর আতঙ্কে রয়েছে পাকিস্তান। একদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বৃহস্পতিবার জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডেকেছেন। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, আশা করি ভারত সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো কোনও দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপ নেবে না।
খাজা আসিফ পাকিস্তানি চ্যানেল হাম নিউজের সঙ্গে সাক্ষাতকারে বলেন, যদি ভারতের পক্ষ থেকে কোনও চাপ বা আক্রমণ আসে, এটিকে দুর্ভাগ্যজনক বলব, তবে আমরা জবাব দেব। এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয়। খাজা আসিফ বলেন, শেষবার যখন আমাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করা হয়েছিল, তখন আমরা যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলাম তা এখনও সকলের মনে আছে। আমি এখনই কোনও বিষয়ে অনুমান করতে চাই না। কিন্তু আমরা আশা করি ভারত সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো কোনও দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপ নেবে না।
যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স যখন ভারতে উপস্থিত ছিলেন তখন এই আক্রমণটি কেন হয়, এর ফলে কারা উপকৃত হতে পারে? এ বিষয়ে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন যে আমি এর উত্তর দিতে পারব না। কারণ বিদেশ মন্ত্রক এটি খতিয়ে দেখছে। তিনি বলেন, কাশ্মীরে ভারতের ৭ লক্ষেরও বেশি সেনা রয়েছে। কেউ তাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত যে ভারতীয় সেনাবাহিনী সেখানে কী করছে?
জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডাকলেন শাহবাজ
এদিকে, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, কাশ্মীর হামলার পর ভারতের বিবৃতির জবাব দিতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির একটি বৈঠক ডেকেছেন।
এই বৈঠকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫টি কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রথমে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আটারি সীমান্ত চেকপোস্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। এটি একটি বড় পদক্ষেপ যা দুই দেশের মধ্যে সীমিত চলাচলও বন্ধ করে দেবে। দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত - পাকিস্তানে ভারতের দূতাবাস এখন বন্ধ থাকবে। তৃতীয় সিদ্ধান্ত - সিন্ধু জল চুক্তিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে পাকিস্তানের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। চতুর্থ সিদ্ধান্ত- ভারতে উপস্থিত সকল পাকিস্তানি কূটনীতিককে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পঞ্চম সিদ্ধান্ত- এখন পাকিস্তানিরা ভারতীয় ভিসা পাবেন না।