ভারতের উস্কানিতেই নাকি পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে আফগানিস্তান। এমনই অভিযোগ করেছিলেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। সেই অভিযোগ যে সর্বৈব মিথ্যা তা প্রকাশ্যে বললেন আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মৌলভি মোহাম্মদ ইয়াকুব মুজাহিদ। তিনি সাফ জানান, আফগানিস্তান তাঁদের ভূখণ্ড রক্ষার জন্য একাই লড়াই করছে। সেখানে অন্য দেশের কোনও ভূমিকা নেই। তিনি বলেন, 'পাকিস্তান যে অভিযোগ করছে সেগুলোর কোনও ভিত্তি নেই। কারণ, আফগানিস্তান কখনও নিজের জমিকে অন্য দেশের কাজে ব্যবহার করতে দেবে না। এটা তালিবানদের ঘোষিত নীতি।'
ভারতের সঙ্গে তাঁরা যে সম্পর্ক মজবুত করতে বদ্ধপরিকর তাও স্পষ্ট করে দেন তালিবানি নেতা। জানান, ভারত যেহেতু প্রতিবেশী দেশ, সেহেতু পারস্পরিক সুসম্পর্ক থাকবে। ব্যবসার স্বার্থেও দুই দেশ কাজ করবে আগামীদিনে। বলেন, 'আফগানিস্তান একটা স্বাধীন দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে চায়। জাতীয় স্বার্থে তা প্রয়োজনীয়।' প্রতিবেশী দেশ হিসেবে পাকিস্তানকেও তাঁরা সমানভাবে গুরুত্ব দেন।
পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্ক যে এখন তলানিতে তা স্বীকার করে নেন মৌলভি মোহাম্মদ ইয়াকুব মুজাহিদ। কিন্তু শান্তি বজায় রাখতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি কাম্য নয়, সেটাও মনে করিয়ে দেন শেহবাজ শরিফদের। তাঁর কথায়, 'আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান প্রতিবেশী দেশ। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকলে কারও উপকার হবে না। পারস্পরিক নীতি মেনে চললে সব সম্পর্ক ভালো হবে।'
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক কোন খাতে প্রবাহিত হবে তা অনেকটা নির্ভর করছে দোহা চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে। তা কতটা বাস্তবায়িত করা সম্ভব, সেই সংক্রান্ত আলোচনা দুই দেশ করবে তুরস্কে। সেজন্য অন্য ইসলামিক দেশগুলো যাতে চুক্তির বাস্তবায়নে সাহায্য করে সেই আবেদন জানান। একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দেন আসিফ মুনিরদের। বলেন, 'কাবুল সব চুক্তি বা শর্ত মেনে চলবে। এই ব্যাপারে তারা আগেও অঙ্গীকার করেছে। কিন্তু পাকিস্তান যদি না মানে তাহলে ছেড়ে কথা বলা হবে না। পাকিস্তান যদি আমাদের দেশ আক্রমণ করে তবে সাধারণ মানুষ ছেড়ে কথা বলবে না। আফগানদের মাতৃভূমির হয়ে লড়াইয়ের ইতিহাস আছে।'