Advertisement

চিনা ফাইটার জেট-বোমা নিয়ে ইরানে হামলা পাকিস্তানের, কতটা শক্তিশালী এই অস্ত্র?

Pakistan Airstrike: ইরানের হামলার পর, পাকিস্তান প্রথমে চিনের তৈরি মনুষ্যবিহীন ড্রোন লুং-২-এর মাধ্যমে ইরানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলির অনুসন্ধান চালায়। এই অভিযানের নাম ছিল 'মার্গ বার সরমাচার' অর্থাৎ গেরিলা যোদ্ধাদের মৃত্যু। পাকিস্তানের এই পদক্ষেপে তেহরান বেশ ক্ষুব্ধ বলেও অনেক জায়গা থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

চিনে তৈরি ফাইটার জেট ও বোমা নিয়ে ইরানের উপর হামলা করেছে পাকিস্তান, জানুন শক্তি
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 18 Jan 2024,
  • अपडेटेड 7:47 PM IST

Pakistan Airstrike: ইরানের হামলায় ক্ষুব্ধ পাকিস্তানও পাল্টা এয়ারস্ট্রাইক করে দিয়েছে। এই কাজের জন্য তারা চিনের তৈরি ফাইটার ব্যবহার করেছে। এছাড়া ফাইটার থেকে পিজিএম বোমাও মারা হয়েছে। এটি আমেরিকায় JDEM-ER এর তৈরি। এই সবগুলিই আকাশ থেকে মাটিতে ছুড়ে মারা যায়।

জেনে নিন ইরানের উপর পাকিস্তানের হামলার গোটা গল্প

ইরানের হামলার পর, পাকিস্তান প্রথমে চিনের তৈরি মনুষ্যবিহীন ড্রোন লুং-২-এর মাধ্যমে ইরানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলির অনুসন্ধান চালায়। এই অভিযানের নাম ছিল 'মার্গ বার সরমাচার' অর্থাৎ গেরিলা যোদ্ধাদের মৃত্যু। পাকিস্তানের এই পদক্ষেপে তেহরান বেশ ক্ষুব্ধ বলেও অনেক জায়গা থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

অন্যদিকে পাকিস্তান জঙ্গি বিমানের মাধ্যমে সিস্তান ও বেলুচিস্তানে হামলা চালায়। বোমা ফেলো। পাকিস্তান বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টার আগে করাচির মাসরুর বিমানঘাঁটি থেকে JF-17 থান্ডার ফাইটার জেট এবং J-10C ভিগোরাস ড্রাগন যুদ্ধবিমান উড়েছে। এই দুটি যুদ্ধবিমানই বিপজ্জনক বোমায় সজ্জিত ছিল।

JF-17 থান্ডার ফাইটার জেট পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর আসল শক্তি

JF-17, চিন এবং পাকিস্তানের যৌথভাবে তৈরি, একটি বহুমুখী যুদ্ধবিমান। এটি পাকিস্তানে ২০০৮ সালের জানুয়ারি থেকে চালু রয়েছে। এটি একজন পাইলট দ্বারা উড্ডয়ন করা হয়। ৪৭ ফুট লম্বা জেটটির ডানার স্প্যান ৩১ ফুট। ফাইটার জেটের সর্বোচ্চ টেকঅফ ওজন ১৩,৫০০ কেজি। এটি একটি একক ইঞ্জিন ফাইটার জেট।এর সর্বোচ্চ গতি ১৯১০ কিমি/ঘন্টা। সাধারণত ১৩৫৯ কিমি/ঘন্টা বেগে উড়তে পারে।এর যুদ্ধের পরিসর ৯০০ কিলোমিটার এবং ফেরি রেঞ্জ ১৮০০ কিলোমিটার। এটি সর্বোচ্চ ৫৫,৫১০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছতে পারে। এটিতে একটি ২৩ মিমি জিএসএইচ-২৩-২ টুইল ব্যারেল কামান লাগানো হয়েছে।

এতে ৪টি হার্ডপয়েন্ট রয়েছে। যার মধ্যে ৬ ধরনের এয়ার টু এয়ার মিসাইল। অথবা পাঁচ ধরনের এয়ার-টু-সার্ফেস মিসাইল বা চারটি অ্যান্টি-শিপ মিসাইল নিয়োগ করতে পারে। এ ছাড়া ছয় ধরনের আনগাইডেড বোমা বা ১০ ধরনের গাইডেড বোমা স্থাপন করা যেতে পারে। অথবা আপনি এই সমস্ত অস্ত্রের সংমিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন।

Advertisement

J-10C Vigorous Dragon: পাকিস্তান চিন থেকে এই ড্রাগন পেয়েছে

এটিও একটি মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট। এটি শুধুমাত্র চিন দ্বারা তৈরি করা হয়। এটি শুধুমাত্র একজন পাইলট দ্বারা চালিত হয়। ৫৫.৫ ফুট লম্বা এই বিমানটির ডানা ৩২.২ ফুট। ১৪.৪ ফুট লম্বা বিমানের সর্বোচ্চ টেকঅফ ওজন ৯,৭৫০ কেজি। এটিও একক ইঞ্জিনের যুদ্ধবিমান। এর গতিও JF-১৭ থান্ডারের কাছাকাছি। সর্বোচ্চ রেঞ্জ ১৮৫০ কিলোমিটার। যেখানে যুদ্ধের পরিসীমা ১২৪০ কিলোমিটার।

এটি সর্বোচ্চ ৫৯ হাজার ফুট উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে। এটিতে একটি GSg-২৩ কামান লাগানো আছে।এটি ছাড়াও এতে ১১টি হার্ড পয়েন্ট রয়েছে। এতে ৯০ মিমি রকেট পডও স্থাপন করা যাবে। এ ছাড়া চার ধরনের এয়ার টু এয়ার মিসাইল, দুই ধরনের এয়ার টু সারফেস মিসাইল এবং দুই ধরনের লেজার গাইডেড বোমা, চার ধরনের গ্লাইড বান, একটি স্যাটেলাইট-গাইডেড বোমা এবং দুই ধরনের আনগাইডেড বোমা থাকতে পারে। দুই ধরনের আনগাইডেড বোমা দিয়ে আক্রমণ। অথবা এই সমস্ত অস্ত্র একত্রিত করেও শত্রু এলাকায় আক্রমণ করার ক্ষমতা রাখে।

লুং-২ ড্রোন দিয়ে নজরদারি করা হয়, তারপর পাকিস্তান আক্রমণ করে

চিনও এই ড্রোন তৈরি করে। এটি একটি মাঝারি উচ্চতা লং এন্ডুরেন্স (MALE) ড্রোন। ৩৬.১ ফুট লম্বা ড্রোনটির ডানা ৬৭.৩ ফুট। ১৩.৫ ফুট লম্বা ড্রোনটির সর্বোচ্চ টেকঅফ ওজন ৪২০০ কেজি। এটি সর্বোচ্চ ৩৭০ কিমি/ঘন্টা বেগে উড়তে পারে।

সাধারণত ২০০ কিমি/ঘন্টা বেগে উড়ে। এই ড্রোনটি একবারে ৩২ ঘন্টা কাজ করতে পারে। অর্থাৎ আকাশে থাকতে পারে। সর্বোচ্চ ৩২,৫০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত যেতে পারে। এতে পাঁচ ধরনের বোমা বা দুই ধরনের মিসাইলও বসানো যায়। অথবা উভয়ের একটি সংমিশ্রণ।

ভাসমান বোমা দিয়ে লক্ষ্যবস্তু সন্ত্রাসীদের আস্তানা

পাকিস্তান আমেরিকার জেডিএএম-ইআর-এর মতো রকেট বুস্টেড গ্লাইড বোমা প্রিসিশন গাইডেড অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এছাড়া এমকে-৮০ সিরিজের সাধারণ বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। যেখানেই এই বোমা পড়ে সেখানেই অনেক ধ্বংসলীলা ডেকে আনে।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement