Advertisement

Pakistan Blast: জুম্মাবারের নমাজের সময় মাদ্রাসায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণ, পাকিস্তানে মৃত্যু-মিছিল

আমরা হামিদুল হককে ছয়জন নিরাপত্তারক্ষী দিয়েছিলাম। শুক্রবারের নমাজের সময় এই বিস্ফোরণ ঘটে। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ ও আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তর করে। নওশেরা এবং পেশোয়ার উভয় হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

পাকিস্তানে মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণপাকিস্তানে মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ
Aajtak Bangla
  • পেশোয়ার,
  • 28 Feb 2025,
  • अपडेटेड 5:04 PM IST
  • মূল লক্ষ্য ছিল হামিদুল হক
  • কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন
  • মওলানা হাক্কানি একজন রাজনীতিবিদ

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের নওশেরা জেলার দারুল উলুম হাক্কানিয়ায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে জেইউআই-এস নেতা মওলানা হামিদুল হক হাক্কানিসহ কমপক্ষে ৫ জন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন। আকোরা খাট্টাকের মাদ্রাসা-ই-হাক্কানিয়ায় শুক্রবারের নমাজের সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্য সচিব শাহাব আলি শাহ বিস্ফোরণে মাদ্রাসার তত্ত্বাবধায়ক এবং জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম (সামি গ্রুপ) প্রধান হামিদুল হক হাক্কানির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মূল লক্ষ্য ছিল হামিদুল হক

পিটিআই অনুসারে, খাইবার পাখতুনখোয়ার আইজিপি জুলফিকার হামিদ বলেন, বিস্ফোরণটি একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। মূল লক্ষ্য ছিল হামিদুল হক। আমরা হামিদুল হককে ছয়জন নিরাপত্তারক্ষী দিয়েছিলাম। শুক্রবারের নমাজের সময় এই বিস্ফোরণ ঘটে। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ ও আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তর করে। নওশেরা এবং পেশোয়ার উভয় হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন

কাজি হোসেন মেডিকেল কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন এবং পাঁচজনের মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গন্ডাপুর এবং গভর্নর ফয়সাল করিম কুন্ডি আত্মঘাতী বিস্ফোরণের নিন্দা জানিয়েছেন। আহতদের জন্য রক্তদানের আবেদন করেছেন জেইউআই-এফ নেতারা।

মওলানা হাক্কানি একজন রাজনীতিবিদ

মওলানা হাক্কানি একজন রাজনীতিবিদ এবং ইসলামি পণ্ডিত যিনি ২০০২ সালের নভেম্বর থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁর বাবা মওলানা সামিউল হকের হত্যার পর তিনি জামিয়া দারুল উলুন হাক্কানিয়ার উপাচার্য এবং জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম (সামি)-এর সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। মাদ্রাসার ওয়েবসাইট অনুসারে, এটি ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বরে ইসলামি ধর্মগুরু মওলানা আব্দুল হক হাক্কানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এর ছাত্রদের বিরুদ্ধে অতীতে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে, মাদ্রাসাটি সন্দেহভাজনদের সঙ্গে কোনও সংযোগের কথা অস্বীকার করেছে।

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement