Advertisement

Pakistan Default Risk: একে একে নিভিছে দেউটি, শ্রীলঙ্কার পথে পাকিস্তান!

দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বেড়ে চলেছে পাকিস্তানের ঋণের বোঝা। বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার খালি। শ্রীলঙ্কার মতো হাল চলেছে পাকিস্তানেরও! ক্রমশ বাড়ছে এমন আশঙ্কা।

দেউলিয়া হওয়ার পথে পাকিস্তান?দেউলিয়া হওয়ার পথে পাকিস্তান?
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 24 May 2022,
  • अपडेटेड 8:21 PM IST
  • পাকিস্তানে কমছে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়।
  • বাড়ছে রাজকোষে ঘাটতি।
  • টালমাটাল পাক অর্থনীতি।

শ্রীলঙ্কার মতো হাল চলেছে পাকিস্তানেরও! ক্রমশ বাড়ছে এমন আশঙ্কা। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বেড়ে চলেছে পাকিস্তানের ঋণের বোঝা। বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার খালি। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তান সরকার এক বিলিয়ন ডলারের পাকিস্তান সুকুক বন্ড বিক্রি করেছিল। সুদ ছিল ৫.৬২৫ শতাংশ। বর্তমানে সেই বন্ডের সুদ বেড়ে হয়েছে ২৭ শতাংশ। তাতে পাকিস্তানের দেউলিয়া হওয়ার পথ অনেকটাই প্রশস্ত হয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।  

পাকিস্তানি সংবাদপত্র দ্য নিউজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই সপ্তাহে পাকিস্তানের ঋণ খেলাপি হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান (এসবিপি) জানিয়েছে, ২০২২ সালে জুন শেষ হওয়ার আগে ৪.৮৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ বকেয়া রয়েছে পাকিস্তানের মাথায়। সেই সঙ্গে বাড়ছে রাজকোষের ঘাটতিও। মনে করা হচ্ছে, জুনের শেষ নাগাদ পাকিস্তানের রাজকোষের ঘাটতি ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে।

কমছে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়

আরও পড়ুন

বৈদেশিক মুদ্রার তহবিলেরও দ্রুত পতন হচ্ছে পাকিস্তানে। এটাও দেউলিয়া হওয়ার কারণ হতে পারে। ২০২১ সালের অগাস্টে স্টেট ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তানের কাছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ৯ মাসে নেমে এসেছে ১০.১ বিলিয়ন ডলারে।

গত ৮ সপ্তাহে পাকিস্তানের স্টেট ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা হারিয়েছে। এ থেকে স্পষ্ট, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ এবং রাজকোষের ঘাটতি মেটাতে গিয়ে দেশের কাছে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা নেই। এমন পরিস্থিতিতে, পাকিস্তান বড় কোনও আর্থিক সাহায্য পেলেই ঋণখেলাপি থেকে বাঁচতে পারবে। দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থাও সাম্প্রতিক অতীতে রাজনৈতিক উত্থান-পতন দেখেছে পাকিস্তান। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অক্ষমতা এবং অর্থনৈতিক ব্যর্থতার কারণে পিটিআই-এর ইমরান খান সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত হতে হয়েছিল। 


পাকিস্তান দেউলিয়া হয়ে গেলে কী হবে?

শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হয়ে গেলে আরও বড় ক্ষতি হবে পাকিস্তানের। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা সে দেশে লগ্নিতে উৎসাহ হারাবেন। নষ্ট হবে দেশের সুনাম। বৈদেশিক ঋণ নেওয়াও খুব কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ দেউলিয়া হয়ে যাওয়া দেশকে কেউ ঋণ দিতে চায় না। ঋণ পাওয়া গেলেও তা অত্যন্ত উচ্চ সুদের হারে নিতে বাধ্য হবে পাকিস্তান। পাকিস্তানের বাজেট ঘাটতি বর্তমানে ৫ ট্রিলিয়ন টাকার কাছাকাছি। রাজকোষে ঘাটতি ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এমতাবস্থায় বিদেশি ঋণ ছাড়া গতি নেই পাকিস্তানের। দেউলিয়া হওয়ার পর পাকিস্তানে বেকারত্ব, সুদের হার বাড়বে। ব্যাঙ্কগুলি গ্রাহকদের টাকা দিতে পারবে না। সেই সঙ্গে দেশের মুদ্রার ব্যাপক পতন। সবমিলিয়ে আম নাগরিককে একবেলা খাবার জোটাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হবে।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement