পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট চরমে। একপিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৩ টাকায়। এক কেজি পেঁয়াজ ২৫০ টাকা। IMF ছাড়া নানা জায়গা থেকে অর্থনেতিক সাহায্য পেয়েছে পাকিস্তান। কিন্ত, তাতেও সেই দেশের অবস্থা শোচনীয়। সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, লাহোরে ১২টি ডিমের দাম ৪০০ টাকা।
আগামী মাসে পাকিস্তানে নির্বাচন। তার আগেই জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। ডিমের দাম শুধু নয়, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দামও। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায়। সরকারের তরফে সেই দাম ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হলেও তা মানছে না বিক্রেতারা।
পেঁয়াজ, ডিম তো গেল, প্রতিবেদনে প্রকাশ, লাহোরে এক কেজি মুরগি ৬১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুধ প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ২১৩ টাকায়। চাল ৩২৮ টাকা কেজি। ফল বা সবজিতেও কোনও অন্যথা নেই। এক কেজি আপেলের দাম ২৭৩ টাকা, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি।
প্রসঙ্গত, গতমাসেই পাকিস্তানের এই অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে বৈঠক হয়। সেই সভার সভাপতিত্ব করেন অর্থ, রাজস্ব ও অর্থনৈতিক বিষয়ের ভারপ্রাপ্ত ফেডারেল মন্ত্রী ড. শামশাদ আখতার। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রাশ টানতে পারেনি সেই দেশের সরকার।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনীতি ধুঁকছে। সেই দেশের মানুষের দিন দিন বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে। দেশের নগদ অর্থের সংকটও বেড়েই চলেছে। IMF ৩ বিলিয়ন ডলারের বেলআউট প্যাকেজের দুটি কিস্তি অনুমোদন করেছে। এতে ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রাথমিক কিস্তি ২০২৩ সালের জুলাই মাসে IMF প্রকাশ করে। যেখানে এখন ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দ্বিতীয় কিস্তিও অনুমোদিত হয়েছে।