Pakistan Has Only 3 Week Expenditure: ডিফল্টার হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে গোটা পাকিস্তান। পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রা ভান্ডার গত ৮ বছরের সবচেয়ে নিচু স্তর ছুঁয়েছে। শুক্রবার একটি মিডিয়া রিপোর্টে আসা খবর অনুযায়ী পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার প্রায় ৫ আরব ডলার হয়ে গিয়েছে। যা গত আট বছরের সবচেয়ে কম। পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফ সরকার দেশের অর্থ ব্যবস্থা মজবুত করার চেষ্টা করছেন তা সত্ত্বেও, পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ এ শেষ সপ্তাহে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান এর ফোরেক্স রেজাল্ট আট বছরের সবচেয়ে নিচু স্তর ৫.৫৭৬ আরব ডলারে এসে গিয়েছে। পাকিস্তানের ভারী বিদেশি ঋণে ডুবে রয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান নিজের ২৪৫ আরব ডলার বিদেশি ঋণ শোধ করেছে। যার কারণে ভান্ডার এখন প্রায় তলানিতে।
পাকিস্তানের PMLN এর নেতৃত্বে জোট সরকারের সামনে আপাতত সবচেয়ে বড় আর্থিক চ্যালেঞ্জ বিদেশি ঋণ শোধ করা। পাকিস্তান, চিন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, বিশ্ব ব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার থেকে ঋণ নিয়ে রেখেছে। কিন্তু এখন তাদের কাছে এত টাকা নেই যে তারা নিজেদের বিদেশি ঋণ শোধ করতে পারে।
IMF-এর কাছে বারবার সাহায্যের দাবি
পাকিস্তান লাগাতার চেষ্টা করে চলেছে, আইএমএফ-এর সাহায্যে আগামী কিস্তি তারা যাতে দিয়ে দিতে পারে। এখনও পর্যন্ত কোন সদুত্তর মেলেনি। শুক্রবার এই খবর সামনে এসেছে যে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আইএমএফের চিফ ক্রিস্টোলিনা জর্জিয়াকে ফোন করে কথা বলেছেন, এর খবর অনুযায়ী জানানো হয়েছে যে শাহবাগ শরিফ আই এম এফ এর চিফকে অনুরোধ করেছেন যে আগামী কিস্তি নিয়ে তাদের কড়া শর্তের উপর তারা যেন পুনর্বিবেচনা করে।
পাকিস্তানি টাকার অবস্থা খারাপ
পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার ভান্ডারের কারণে পাকিস্তানি টাকায় ভারী অবমূল্যায়ন হয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানে বিদেশি মুদ্রা ভান্ডার জানুয়ারি ২০২২ এ ১৬.৬ আরব ডলার ছিল। যা পরের মাসে ১১ আরব ডলার হয়ে গিয়েছে এবং ৫.৫৭৬ আরব ডলার রয়ে গিয়েছে। পাকিস্তান এত টাকা বিদেশি মুদ্রা ভান্ডার থেকে এখন পর্যন্ত কেবল তিন সপ্তাহ পর্যন্ত চালাতে পারবে। এসবিপি জানিয়েছে যে ডলার বৃহস্পতিবার ১৭ পয়সা তেজির সঙ্গে ২২৭ দশমিক ১২ পাকিস্তানি টাকাতে বন্ধ হয়েছে।
পাকিস্তান ডিফল্টার প্রমাণিত হওয়ার কাতারে দাঁড়িয়ে রয়েছে
কিন্তু রাজনৈতিক নেতারা ভরসা দেওয়ার চেষ্টা করছেন আমজনতাকে। তাঁরা বোঝাচ্ছেন যে পরিস্থিতি শুধরে যাবে অর্থমন্ত্রী বলছেন যে মিত্র দেশ গুলি পাকিস্তানের জন্য কার্তিক সাহায্য নিয়ে হাজির হবেন।
পাকিস্তানের পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত হাতের নাগালের বাইরে চলে যেতে চলেছে
পাকিস্তানে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। একটা গ্যাস সিলিন্ডার ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। খাবার জিনিসের দাম অগ্নি মূল্য। এখানে সাবসিডি ওয়ালা আটার জন্য মারামারি শুরু হয়েছে। খুনোখুনি পর্যন্ত হয়েছে। যদি পাকিস্তানিরা দ্রুত আর্থিক সাহায্য না পান, তাহলে হাহাকার স্থিতি তৈরি হতে পারে।