Advertisement

আবারও বাটি হাতে পাকিস্তান, বকাবকি করেও 'ভিক্ষে' দিল IMF

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) আবারও অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত পাকিস্তানকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিল। যদিও সংস্থাটি সম্প্রতি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিল ভুল তথ্য উপস্থাপনের অভিযোগে। তবে এবার ১.২ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কার্যক্রমে সম্মতি দিয়ে মানবিক সহানুভূতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।-ফাইল ছবিপাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।-ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 15 Oct 2025,
  • अपडेटेड 5:27 PM IST
  • আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) আবারও অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত পাকিস্তানকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিল।
  • যদিও সংস্থাটি সম্প্রতি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিল ভুল তথ্য উপস্থাপনের অভিযোগে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) আবারও অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত পাকিস্তানকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিল। যদিও সংস্থাটি সম্প্রতি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিল ভুল তথ্য উপস্থাপনের অভিযোগে। তবে এবার ১.২ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কার্যক্রমে সম্মতি দিয়ে মানবিক সহানুভূতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

ত্রুটি স্বীকারেও রক্ষা মেলেনি তিরস্কার থেকে
সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, পাকিস্তান আইএমএফ-এর কাছে ভুল বাণিজ্য তথ্য জমা দিয়েছিল, যার পরিমাণ ছিল প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলারের। এই ঘটনায় আইএমএফ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। এবং স্পষ্ট করে জানায়, এই ধরনের ভুল তথ্য আন্তর্জাতিক আর্থিক সম্পর্কের ওপর আস্থা নষ্ট করে। পাকিস্তান নিজেও ভুল স্বীকার করেছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রে (Geneva-based ITC) জমা দেওয়া বাণিজ্য পরিসংখ্যান ছিল অসম্পূর্ণ। বিশেষ করে আমদানির কিছু পরিসংখ্যান অনুপস্থিত ছিল।

তারপরও মিলল আর্থিক সহায়তা
বিতর্ক ও সমালোচনার মাঝেও, পাকিস্তান ও আইএমএফ-এর মধ্যে সম্প্রতি একটি Staff-Level Agreement (SLA) সম্পাদিত হয়েছে। এর আওতায় পাকিস্তান IMF-এর Extended Fund Facility (EFF) প্রোগ্রামের অধীনে ১ বিলিয়ন ডলার এবং Resilience and Sustainability Facility (RSF) থেকে অতিরিক্ত ২০০ মিলিয়ন ডলার পাবে। তবে এই অর্থ ছাড়ের চূড়ান্ত অনুমোদন এখনও IMF-এর নির্বাহী বোর্ডের বিবেচনার অপেক্ষায়।

IMF প্রতিনিধি ইভা পেট্রোভা এক বিবৃতিতে জানান, এই চুক্তি পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও বাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, পাকিস্তান ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১৪ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত অর্জন করেছে এবং রাজস্ব ঘাটতি হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতির নিয়ন্ত্রণ, ও বৈদেশিক রিজার্ভ শক্তিশালী করতে সাফল্য দেখিয়েছে।

অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ
পাকিস্তানের অর্থনীতি বর্তমানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। বহু বছর ধরে দেশটি মুদ্রাস্ফীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং দুর্বল রাজস্ব আদায়ের সমস্যায় ভুগছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ – বিশেষ করে বন্যা, যা কৃষি খাতকে বড় ধাক্কা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আইএমএফ-এর এ ধরনের সহায়তা কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে দেশটির সরকারকে।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement