পাকিস্তানের দৈন্যদশা আরও চরমে। দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত সে দেশ। আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার বা আইএমএফের তরফে আর্থিক সহযোগিতা পাওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তানের পরিস্থিতির বদল ঘটেনি। পাকিস্তানের বাসিন্দাদের মধ্যে দারিদ্র আরও বাড়ছে। মুদ্রাস্ফীতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে, যার জেরে দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সে দেশের নাগরিকদের। বিশ্ব ব্যাঙ্কের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
গত কয়েক বছরে, পাকিস্তানের দুর্দশার অনেক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। আটা, ডাল থেকে শুরু করে গ্যাস এবং জল সবকিছুর জন্য পাক নাগরিকদের হাহাকারের নানা ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। পাকিস্তানকে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছে আইএমএফ। কিন্তু সেই অর্থ খরচ করা হচ্ছে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য।
পাকিস্তানের অবস্থা এতটাই খারাপ যে দেশটির বৈদেশিক ঋণ ১৩১ বিলিয়ন ডলার, যা তার জিডিপির (পাকিস্তান জিডিপি) প্রায় ৪২ শতাংশ।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের একটি নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, জিএসটি পাকিস্তানে দারিদ্র বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। 'পাকিস্তানে বৈষম্য ও দারিদ্র্যের উপর কর ও স্থানান্তরের প্রভাব' শীর্ষক প্রতিবেদনে পাকিস্তানের দুর্দশার কথা তুলে ধরা হয়েছে।
এই পরিস্থিতি সামলাতেপাকিস্তান সরকারকে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহ এবং সরকারি ব্যয় উন্নত করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। রাজস্ব সমতা উন্নত করার জন্য এটি প্রয়োজনীয়। এছাড়াও, বিশ্বব্যাপী সংস্থাটি পাকিস্তানে জনস্বাস্থ্য ও শিক্ষার অ্যাক্সেস বৃদ্ধির জন্য সংস্কার বাস্তবায়নের উপর জোর দিয়েছে, যা দেশে দারিদ্র্য ও বৈষম্য হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এর সঙ্গে সঙ্গে, বিশ্ব ব্যাঙ্ক পাকিস্তানের কর ব্যবস্থার ত্রুটিগুলি তুলে ধরেছে এবং বলেছে যে, পাকিস্তানের সমস্যা হল, তারা পরোক্ষ করের উপর বেশি মনোযোগ দিয়েছে এবং ভর্তুকি ব্যয় থেকে রাজস্ব আয়ের পথ বেছে নিয়েছে।