পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে হাইজ্যাক হওয়া জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান শেষ। পাকিস্তানের নিরাপত্তাবাহিনীর জনসংযোগ কর্তা আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, ফ্রন্টিয়ার কর্পস (এফসি) এবং স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের (এসএসজি) অভিযানে মারা গিয়েছে ৩৩ বেলুচ বিদ্রোহী। মুক্ত পণবন্দিরা। তবে ২১ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে পাকিস্তান রেডিওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেনাবাহিনী উদ্ধার অভিযানে ১৯০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ৩৭ জন যাত্রী আহত। ৫৭ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে কোয়েটায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী,
'২১ জন যাত্রী এবং ৪ জন সেনা জওয়ান নিহত'
১১ মার্চ দুপুর ১ টায় জাফর এক্সপ্রেসকে লাইনচ্যুত করে যাত্রীদের পণবন্দি করে বেলুচ বিদ্রোহীরা। নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে ১৯০ জন যাত্রী মুক্তি পেয়েছেন বলে দাবি করেছে প্রশাসন। তবে মারা গিয়েছেন ২১ জন যাত্রী। বেলুচ বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে হত ৪ পাক জওয়ান।
অন্যদিকে বেলুচ লিবারেশন আর্মি দাবি করেছে, তারা ১০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হামলার প্রত্যুত্তর দিতে এ ছাড়া তাদের কাছে কোনও পথ খোলা ছিল না। তারা এও দাবি করেছেন, অন্তত ৩০ জন পাকিস্তানি সেনা জওয়ানকে নিকেশ করেছে বিএলএ।
পাকিস্তানের এক রেল কর্তা জানিয়েছেন, হামলার সময় ট্রেনে ৪৪০ জন যাত্রী ছিলেন। পণবন্দিদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন বেলুচ বিদ্রোহীরা। ঘটনার নিন্দা করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। জাফর এক্সপ্রেস মামলায় প্রথম প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লিখেছেন,'আমি মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জাফর এক্সপ্রেসে জঘন্য সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে আমাকে অবহিত করেছেন। এই কাপুরুষোচিত হামলায় সমগ্র দেশ গভীরভাবে মর্মাহত। নিরীহ মানুষদের প্রাণহানির ঘটনায় শোকাহত। এই ধরনের কাপুরুষোচিত কর্মকাণ্ড পাকিস্তানের শান্তির সংকল্পকে দমন করতে পারবে না'।