
অস্থির পরিস্থিতি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়ায়। এবার সেখানে রাজ্যপাল শাসন চালু করতে পারে শেহবাজ শরিফের সরকার। মন্ত্রিসভার এক সদস্য জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতির কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী সোহেল আফ্রিদি রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলের বাইরে রাতভর অবস্থান করেন। ইমরান খানকে নিয়ে পাকিস্তানের সরকারকে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে, সেই দাবি করেন সোহেল। তারপরই নড়েচড়ে বসে পাক প্রশাসন। সকালেই মন্ত্রী আকিল মালিক নিশ্চিত করেন যে, সেই প্রদেশে রাজ্যপাল শাসন চালু করা হতে পারে। সরকার ইতিমধ্যেই তা নিয়ে বিবেচনা শুরু করেছে।
পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই নেতা বলেন, 'দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য এই পদক্ষেপ করা হতে পারে। কারণ, সোহেল আফ্রিদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা চাইছেন না। সমন্বয় সাধন করছেন না। তিনি দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে পারেন।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়ায় ক্ষমতা দখল করে রেখেছে ইমরান খানের দল। তাঁর লাখ লাখ সমর্থকও রয়েছেন সেখানে। স্বাভাবিকভাবেই এই অঞ্চলটি নিয়ে চাপে রয়েছে পাকিস্তান সরকার। ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে এখানে আগেও প্রতিবাদ হয়েছে। এখন মুখ্যমন্ত্রী নিজে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখানোয় পাকিস্তানের শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আকিল মালিক জানিয়েছেন, পাকিস্তানের ২৩২ এবং ২৩৪ ধারার অধীনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে রাজ্যপাল শান চালু করা যায়। রাষ্ট্রপতি তখন সেই এলাকার নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠেন। তাঁর কথায়, 'রাষ্ট্রপতি নিজেও এই পদক্ষেপ নিতে পারেন, পরে সংসদের যৌথ অধিবেশন থেকে অনুমোদন নিয়ে। এই শাসন প্রাথমিকভাবে দুই মাস স্থায়ী হতে পারে। প্রয়োজনে বাড়ানো যেতে পারে।'