Advertisement

Pakistan: বামুন হয়ে চাঁদে হাত! পরের বছর মহাকাশে মানুষ পাঠাবে পাকিস্তান

এবার মহাকাশে মানুষ পাঠাবে পাকিস্তান। ২০২৬ সালেই নভোচরকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে তারা। যদিও এর জন্যও চিনের উপর ভরসা করতে হচ্ছে তাদের।

নিজস্ব চিত্র নিজস্ব চিত্র
Aajtak Bangla
  • ইসলামাবাদ,
  • 05 Aug 2025,
  • अपडेटेड 1:12 PM IST
  • মহাকাশে মানুষ পাঠাবে পাকিস্তান
  • ২০২৬ সালে ISS-এ যাবে পাক নভোচর
  • এর জন্য চিনের দিকে তাকিয়ে পাকিস্তান

এবার মহাকাশ সফরে পাকিস্তান। ২০২৬ সালে প্রথমবার আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পা রাখতে চলেছেন পাক মহাকাশচারী। তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে এর নেপথ্য কাহিনিটা এতটাও সহজ নয়। 

পাকিস্তানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা SUPARCO (স্পেস অ্যান্ড অ্যাটমস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন) ১৯৬১ সালে স্থাপিত হয়। যা ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO)-র থেকেও আগে। তবে এখন সেই গবেষণা সংস্থার পরিস্থিতি কী? 

পাকিস্তানের মহাকাশ অভিযান
পাকিস্তান ১৯৬১ সালে SUPARCO স্থাপন করেছিল। সেই বছরই নোবেল পুরস্কারজয়ী বিজ্ঞানী আব্দুস সলাম সেই সংস্থাকে মজবুত করার লক্ষ্যে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯৬২ সালে প্রথম রকেট 'রোভার-১' লঞ্চ করা হয়। যা সে সময়কার বড় সাফল্য বলেই মনে করা হয়। ১৯৯০ সালে প্রথম স্যাটেলাইট 'বদর-১' চিনের সাহায্য লঞ্চ করে পাকিস্তান। তারপর থেকেই থমকে যায় মহাকাশ অভিযান। 

সমস্যা
> পাক সরকার মহাকাশ প্রোগ্রামে সেভাবে বাজেট বরাদ্দ করেনি। SUPARCO-র জন্য বরাদ্দ করা হয় মাত্র ৩৬ মিলিয়ন ডলার। যা অনেকটাই কম। 
> গত ১১ বছর ধরে সেনার অবসরপ্রাপ্ত জেনরেল এই এজেন্সি চালাচ্ছেন। বৈজ্ঞানিক দিশা অনেকটাই দুর্বল পাকিস্তানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার। 
> শিক্ষার ক্ষেত্রে মহাকাশ গবেষণা সংক্রান্ত কোর্স অনেক কম রয়েছে পাকিস্তানে। 
> পরমাণু প্রোগ্রামে মনযোগ দেওয়ায় মহাকাশ গবেষণা পিছিয়ে যাবে। 

চিনের উপর নির্ভর পাকিস্তান
পাকিস্তান বর্তমানে সম্পূর্ণ চিনের উপর নির্ভরশীল। সম্প্রতি ৩টি স্যাটেলাইট লঞ্চ হয়েছে। তবে প্রত্যেকটিই চিনের সাহায্য নিয়ে। এবার ২০২৬ সালে প্রথম নভোচর পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে পাকিস্তান, তাও চিনের কাঁধে ভর করে। দু'জন পাকিস্তানি মহাকাশচারীকে এর জন্য ট্রেনিং দেবে চিন। 

বর্তমান পরিস্থিতি
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ স্পেস সায়েন্সের উন্নতিতে জোর দিয়েছেন ঠিকই তবে এখনও পর্যন্ত স্বতন্ত্র মহাকাশ গবেষণার ক্ষমতা নেই পাকিস্তানের। ২০৩৫ পর্যন্ত মহাকাশযান পাঠানোর পরিকল্পনার জন্যও চিনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। 

ভারতের মহাকাশ গবেষণা
ISRO-র যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৬৯ সালে, পাকিস্তানের মহাকাশ সংস্থা স্থাপনের ৮ বছর পর। তবে আজ ISRO বিশ্বের মধ্যে মহাকাশ গবেষণায় একাধিক নজির গড়েছে। চন্দ্রযান, মঙ্গলযান, গগনযানের মতো অভিযান ISRO-র মুকুটে এক একটি সাফল্যের পালক। ISRO-র জন্য বাজেট বরাদ্দ ১.৫ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। স্বদেশি প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অভিযানের পরিকল্পনা করে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, কারও উপর নির্ভর করে নয়। 

Advertisement

ভারত বনাম পাকিস্তান
> ISRO স্বতন্ত্র ভাবে চাঁদে যান পাঠিয়েছে। SUPARCO সম্পূর্ণ চিনের উপর নির্ভরশীল। 
> ভারত শিক্ষা এবং গবেষণায় মনযোগ দিয়েছে। পাকিস্তান সেনা এবং পরমাণু প্রোগ্রাম নিয়েই ব্যস্ত।
> ISRO ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে মহাকাশ গবেষণায় সুপারপাওয়ার হিসেবে প্রতিষ্টা করবে। এদিকে পাকিস্তানের লক্ষ্য ২০৪০ সালে মহাকাশে পা ফেলা, তার জন্যও চিনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে তারা। 

পাকিস্তান এখনও পর্যন্ত ৬টি স্যাটেলাইট লঞ্চ করেছে। ১৯৯০ সালের বদর-১, ২০০১ সালে বদর-বি, ২০১১ সালে পকসেট-১, ২০১৮ সালে পিআরএসএস-১, ওই বছরই পক টেস্ট-১এ এবং ২০২৪ সালে আইকিউব-কিউ। এর বেশিরভাগই হয়েছে চিনের সাহায্যে। সেখানে ISRO এখনও পর্যন্ত ১২০টিরও বেশি স্যাটেলাইট লঞ্চ করেছে। 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement