Pakistan Fake Photo: উত্তেজনার আবহে ফের ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগ উঠল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, সরকারের বিভিন্ন প্রতিনিধি ও সংবাদমাধ্যম যে জনমতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে তা কার্যত স্পষ্ট। অভিযোগ, পাকিস্তান নৌবাহিনী পুরনো একটি ছবি এডিট করে যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন ও বিমান মোতায়েনের মিথ্যা দাবি করছে। নিজের দেশের মানুষকেই মিথ্যা বলছে পাক নৌবাহিনী।
সম্প্রতি পাকিস্তান নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে এই ছবিটি প্রকাশ করা হয়। আইএসপিআর-এর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এটি দেখানো হয়। বলা হয় যে, জলপথে তাদের বাহিনী দ্রুত মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু একটু তলিয়ে দেখলেই আসল ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন।
নৌবাহিনীর এক আধিকারিক দাবি করেন, সাবমেরিন, যুদ্ধজাহাজ ও বিমান দ্রুত মোতায়েন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নাকি পাকিস্তানের শক্তি প্রদর্শন করা হচ্ছে। কিন্তু যে ছবি দেখিয়ে তিনি এই দাবির চেষ্টা করেন, তা আদৌ নতুন নয়। ছবিটি ২০২৩ সালের। এটি ভারত মহাসাগরে অনুষ্ঠিত চিন-পাকিস্তান যৌথ নৌমহড়ার সময় তোলা।
মূল ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চিন ও পাকিস্তানের একাধিক যুদ্ধজাহাজ রণসাজে এগিয়ে চলেছে। সেইসঙ্গে পাকিস্তান নৌবাহিনীর এয়ার আর্মের তিনটি লকহিড মার্টিন P-3C ওরিয়ন বিমান উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে। তবে এদিনের প্রকাশিত ছবিতে এডিট করে একটি সাবমেরিন যুক্ত করা হয়েছে। আর তাতেই এই পুরো দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। রীতিমতো হাসির খোরাক হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ছবি।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে 'রেডিও পাকিস্তান'-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে 'নেভাল চিফ লডস অ্যাচিভমেন্টস অব অপারেশনাল অবজেক্টিভস বাই পাকিস্তান নেভি' শিরোনামে মূল ছবিটি ছাপা হয়েছিল। সেখানে ছবিতে কোনও এডিট ছিল না। আর সেটিই পরে বিকৃত করে দেখানো হয়েছে আইএসপিআর-এর ব্রিফিংয়ে।
'ইউরেশিয়ান টাইমস'-এর ২০২৩ সালের একটি প্রতিবেদনেও এই একই ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই একই ছবি ফের তুলে ধরে পাকিস্তান নৌবাহিনী এখন দাবি করছে এটি নাকি নতুন। এর থেকেই স্পষ্ট, পুরনো ছবিকেই নতুন করে সাজিয়ে জনমত প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে তারা।
এই ঘটনায় ফের একবার পাকিস্তানের সামরিক শক্তি প্রদর্শনের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।