Advertisement

Hindu temple in Islamabad: অবশেষে মিলল অনুমতি, ইসলামাবাদে তৈরি হবে প্রথম হিন্দু মন্দির

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে কিছুদিন আগে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য বরাদ্দকৃত জমি বাতিল করা হলে বিরোধ দেখা দেয়। এই জমিতে একটি হিন্দু মন্দির, শ্মশান এবং কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণের কথা ছিল। তবে এ নিয়ে সমালোচনার পর একবার ফের এই জমি হিন্দু সম্প্রদায়কে বরাদ্দ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রতীকী ছবিপ্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 10 Nov 2021,
  • अपडेटेड 12:59 PM IST
  • ইসলামাবাদে হিন্দু মন্দিরের জন্য বরাদ্দকৃত জমি বাতিল করা হয়েছিল
  • বিবাদের পর ফের জমি পেল হিন্দু সম্প্রদায়
  • এবার ইসলামাবাদে তৈরি হবে প্রথম হিন্দু মন্দির

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে কিছুদিন আগে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য বরাদ্দকৃত জমি বাতিল করা হলে বিরোধ দেখা দেয়। এই জমিতে একটি হিন্দু মন্দির, শ্মশান এবং কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণের কথা ছিল। তবে এ নিয়ে সমালোচনার পর একবার ফের এই জমি হিন্দু সম্প্রদায়কে বরাদ্দ করে দেওয়া হয়েছে।

 

 

আরও পড়ুন

ডন পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে, ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) একটি মামলার শুনানির সময় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) সোমবার আদালতের সামনে জানিয়েছে যে, হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য বরাদ্দকৃত জমি বাতিলের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সিডিএ-র কৌঁসুলি জাভেদ ইকবাল আদালতকে বলেন যে সিভিক এজেন্সি এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য জমি বাতিল করেছিল কারণ সেখানে নির্মাণ শুরু হয়নি।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামাবাদে ০.৫ একর জমি ২০১৬  সালে হিন্দু সম্প্রদায়কে বরাদ্দ করা হয়েছিল। এই জমিতে একটি হিন্দু মন্দির, শ্মশান ও কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণের কথা ছিল। জমি বরাদ্দ বাতিলের খবরে পাকিস্তানি সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল এবং অনেকেই CDA-এর এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছিলেন। সিডিএকে এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করার কথাও বলা হয়।

'ভুল বোঝাবুঝির কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি বাতিল করা হয়েছে'
এ প্রসঙ্গে সিডিএর মুখপাত্র সৈয়দ আসিফ রাজা বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তের পর ভুল বোঝাবুঝির কারণে বিভিন্ন অফিস, বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে ইস্যু করা ওই সব জমির বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে, যার ওপর কোনো নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। যাইহোক, নাগরিক সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তকে ভুল বুঝেছিলেন এবং এর কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য বরাদ্দকৃত জমিও বাতিল করা হয়েছিল। তিনি বলেন, যেহেতু ইতিমধ্যে মন্দিরের জন্য বরাদ্দকৃত জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অনুমোদন পাওয়া গেছে, এমন পরিস্থিতিতে এই জায়গাটি সেই জমির ক্যাটাগরিতে আসে না যেখানে নির্মাণকাজ একেবারেই হয়নি, তাই এই জমিতে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য নয়।

 

 

যারা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের অপব্যাখ্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে সিডিএ কোনো তদন্ত শুরু করবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে এ ব্যাপারে কারও কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে কিছুটা বিভ্রান্তি দেখা দিলেও বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হলে তাৎক্ষণিকভাবে বরাদ্দ ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

Advertisement

এটি হবে ইসলামাবাদের প্রথম হিন্দু মন্দির
উল্লেখ্য যে, গত বছরের জুলাই মাসে পাকিস্তানের উগ্রবাদী দলগুলো ইসলামাবাদে সরকারি অর্থায়নে একটি হিন্দু মন্দির নির্মাণের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছিল এবং এর কারণে সিডিএ এই স্থানে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে এই জমির চারপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হলে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়। বর্তমানে ইসলামাবাদে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য কোন মন্দির বা শ্মশান কেন্দ্র নেই। পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন এবং সম্প্রদায়ের অনেক প্রচেষ্টার পরে, সিডিএ ২০১৬  সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য জমি বরাদ্দ করেছিল। ইসলামাবাদের সৈয়দপুর গ্রামে আগে একটি মন্দির ছিল, কিন্তু সেই মন্দিরটি কয়েক দশক আগে ধ্বংস হয়ে গেছে।

Read more!
Advertisement
Advertisement