Advertisement

Pakistan Oil Reserve: কেন পাকিস্তানের 'তেলের ভাণ্ডার' দিবাস্বপ্নের মতো? ডিটেলে বুঝে নিন

পাকিস্তানে তেল মজুতের এই প্রতারণার সূত্রপাত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তব্য থেকে। ইমরান খান ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানে সম্ভাব্য তেল মজুত সম্পর্কে কথা বলেছিলেন।

কেন পাকিস্তানের 'তেলের ভাণ্ডার' দিবাস্বপ্নের মতো? ডিটেলে বুঝে নিনকেন পাকিস্তানের 'তেলের ভাণ্ডার' দিবাস্বপ্নের মতো? ডিটেলে বুঝে নিন
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 01 Aug 2025,
  • अपडेटेड 1:45 PM IST
  • পাকিস্তান খাইবার পাখতুনখোয়ার কোহাত এবং সিন্ধুর খারোতে তিনটি গ্যাসের ভাণ্ডার থাকার দাবি করেছিল
  • এর সঙ্গে খাইবার পাখতুনখোয়ার লাক্কি মারওয়াতেও তেলের ভাণ্ডার থাকার দাবি করা হয়েছিল

সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে আমেরিকা। দুই দেশের মধ্যে এই বাণিজ্য ও জ্বালানি চুক্তির আওতায় পাকিস্তানের বিশাল তেল মজুতে পরিকাঠামো উন্নয়নে সহযোগিতা করবে আমেরিকা। কিন্তু পাকিস্তানের তেল মজুজ কি সত্যিই এত বড় যে ট্রাম্প এতে সহযোগিতার কথা বলছেন? এই চুক্তি ঘোষণার পর ট্রাম্প বলেছিলেন যে কে জানে হয়তো একদিন পাকিস্তান ভারতের কাছে তেল বিক্রি করবে। কিন্তু এই বক্তব্য ও পাকিস্তানে তেল মজুত সম্পর্কে ট্রাম্পের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে কেবল স্বপ্ন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

পাকিস্তানে তেল মজুতের এই প্রতারণার সূত্রপাত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তব্য থেকে। ইমরান খান ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানে সম্ভাব্য তেল মজুত সম্পর্কে কথা বলেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে করাচি উপকূলের কাছে ইরান সীমান্ত থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে তেল ও গ্যাসের ভাণ্ডার খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কিন্তু ইমরান খানের এই বক্তব্যের মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক এই দাবিগুলি সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে। তারা বলেছে যে খনন চালিয়ে কোনও উল্লেখযোগ্য লাভ হয়নি। এই অঞ্চলে তেলের ভাণ্ডার পাওয়া যায়নি। ২০২৪ সালে পাকিস্তানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে এক্সনমোবিল, ইএনআই, পাকিস্তান পেট্রোলিয়াম এবং তেল ও গ্যাস উন্নয়ন সংস্থা ৫৫০০ মিটার পর্যন্ত খনন করেছে। কিন্তু কোনও তেল ও গ্যাসের ভাণ্ডার খুঁজে পায়নি। পরে একজন কর্তা বলেন যে কোনও কিছুই না পেয়ে খনন মাঝপথেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

পাকিস্তানের ফাঁপা দাবি

পাকিস্তান খাইবার পাখতুনখোয়ার কোহাত এবং সিন্ধুর খারোতে তিনটি গ্যাসের ভাণ্ডার থাকার দাবি করেছিল। এর সঙ্গে খাইবার পাখতুনখোয়ার লাক্কি মারওয়াতেও তেলের ভাণ্ডার থাকার দাবি করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন যে এই তেল ভাণ্ডারগুলি খনন করতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে এবং এর জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন হবে। বলা হয়েছিল যে পাঁচ থেকে ছয় বছরের খনির জন্য প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। পাকিস্তানে অসীম তেল মজুত থাকার স্বপ্নকে একপাশে রেখে এবং পাকিস্তানের বর্তমান তেল মজুতের কথা বলতে গেলে, ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রতিবেশী দেশটির আনুমানিক তেল মজুত ৩৫.৩৫ কোটি ব্যারেল বলে অনুমান করা হয়েছিল। এটি বিশ্বব্যাপী তেল মজুতের মাত্র ০.০২১ শতাংশ।

Advertisement

পাকিস্তানের তেলের বেশিরভাগ ভাণ্ডার বালুচিস্তানে

এই একই অঞ্চল যেখানে বালোচ বিদ্রোহীদের আধিপত্য রয়েছে। গত মাসে, পাকিস্তানে পেট্রোলের দাম ৫.৩৬ পাকিস্তানি রুপি বেড়ে যাওয়ায় জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে যাওয়ার পরেও দেশে জ্বালানির দাম বাড়া নিয়ে খুশি নন পাকিস্তানিরা। বিপরীতে, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল আমদানিকারক ভারতের তেলের মজুত প্রায় ৪.৯ বিলিয়ন ব্যারেল, যা বিশ্বব্যাপী ২৫তম স্থানে রয়েছে। এটি বিশ্বের মোট তেল মজুতের প্রায় ০.২৯ শতাংশ।

প্রতি বছর ইরান থেকে ব্যাপকভাবে তেল পাচার করা হয়

২০২৩ সালে প্রায় ১.০২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ইরানি পেট্রোল এবং ডিজেল অবৈধভাবে পাকিস্তানে পাচার করা হয়েছিল। ইরান থেকে প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় মিলিয়ন লিটার তেল পাচার করা হয়। জীবিকা নির্বাহের জন্য বালুচিস্তানের প্রায় ২৪ লক্ষ মানুষ এই অবৈধ ব্যবসায় জড়িত।

Read more!
Advertisement
Advertisement