পহেলগাঁওয়ে হামলার বদলা নিতে তোড়জোড় শুরু করেছে ভারত। সীমান্ত এলাকায় প্রায় রোজদিনই পাক সেনাবাহিনী সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে। একে অপরের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক স্তরে একাধিক পদক্ষেপ করেছে দুই দেশ। যার জেরে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক কার্যত তলানিতে উঠে এসেছে। এই আবহে শনিবার মধ্যরাতে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। সোমবার বিকেল ৫টায় সে দেশের পার্লামেন্টে জরুরি অধিবেশন ডাকলেন তিনি।
সূত্রের খবর, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চাপানউতোর নিয়েই মূলত আলোচনা হবে অধিবেশনে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর পরই পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে দিয়েছে ভারত। এই নিয়েও আলোচনা হতে পারে। ভারতকে পাল্টা কীভাবে জবাব দেওয়া হবে, তার রণকৌশলও ঠিক করতে পারে ইসলামাবাদ।
অন্য দিকে, জঙ্গি হামলার বদলা হিসাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে কোনও মুহূর্তে প্রত্যাঘাত করতে পারে ভারত। ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কখন, কোথায় কী নিশানা করা হবে, তা স্থির করবে ভারতীয় সেনা। এই আবহে পাকিস্তানে পার্লামেন্টে জরুরি অধিবেশন তাৎপর্যপূর্ণ। কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ভারত কীভাবে বদলা নেবে, তার ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান। পাশাপাশি, জঙ্গি হামলার ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভারতের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছে, তাতে আন্তর্জাতিক মহলেও খানিকটা চাপে পড়েছে পাকিস্তান।
সম্প্রতি কাশ্মীরের পহলেগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ২৫ জন পর্যটক ও এক কাশ্মীরির মৃত্যুর ঘটনায় ফুঁসছে গোটা দেশ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার রব উঠেছে সর্বত্র। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক স্তরে একাধিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে পাক ভিসা। আকাশপথেও কড়া পদক্ষেপ করেছে নয়াদিল্লি।