রণক্ষেত্র পাকিস্তান। ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে সেই দেশ। একদিকে ইমরান খানের সমর্থক অন্যদিকে জেনারেল অসীম মুনিরের বাহিনী। দুই পক্ষের সংঘর্ষে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় সেখানে। সেনাবাহিনী ইমরান খানের সমর্থকদের মোকাবিলা করার জন্য রাস্তায় কন্টেনারের দেওয়াল তৈরি করেছিল। কিন্তু সেই কন্টেনার সরিয়ে দেয় ইমরান-সমর্থকরা। তারপর ইসলামাবাদে প্রবেশ করে তারা।
প্রসঙ্গত, তেহরিক-ই ইনসাফ-এর (পিটিআই) কর্মী এবং সমর্থকরা ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে ইসলামাবাদ পর্যন্ত একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। সরকার সেই মিছিলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি তপ্ত হয়। শাহবাজ সরকারের দাবি, ইমরান সমর্থকদের হামলায় পাকিস্তান রেঞ্জার্সের তিন সেনার মৃত্যু হয়েছে। ইসলামাবাদ প্রশাসনের মতে, ইমরান সমর্থকরা তিনজন পাকিস্তানি রেঞ্জার্সকে তাদের গাড়ি দিয়ে পিষে হত্যা করেছে। খবর মিলেছে, ইসলামাবাদের ডি-চকে পুলিশ ও পিটিআই কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি ইসলামাবাদের আইজিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর দাবি, তিনজন পাকিস্তান রেঞ্জার্স এবং একজন পুলিশকর্মী আক্রমণে প্রাণ হারান।
এদিকে খবর পাওয়া যাচ্ছে, পাকিস্তানি রেঞ্জার্সের গুলিতে ইমরান খানের দল পিটিআই-এর ৩ কর্মী নিহত হয়েছেন। যদিও পিটিআই কর্মীরা নিজেদের মধ্যে বিবাদ করছেন বলে খবর। আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি নিয়ে তাদের মত মিলছে না।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখবাজ শরিফ। বিক্ষোভকারীদের হাতে পাকিস্তানি রেঞ্জার্স এবং পুলিশ কর্মীদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা করেন তিনি। অবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, 'তথাকথিত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের আড়ালে পুলিশ ও রেঞ্জার্সের উপর হামলা নিন্দনীয়। ওরা শান্তি চায় না। রক্ত চায়। কিন্তু পাকিস্তানি সরকার শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর।'