Advertisement

Masood Azhar News: 'টুকরে টুকরে হো গ্যায়ে...' অপারেশন সিঁদুর-এ মাসুদের পরিবার কীভাবে খতম? পাকিস্তানের VIDEO VIRAL

অপারেশন সিঁদুরের সময় জঙ্গি মাসুদ আজহারের পরিবার নিহত হয়েছিল। অপারেশন সিঁদুরের কয়েক মাস পর, জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের তরফে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। জইশ-ই-মহম্মদের শীর্ষ কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি স্বীকার করেন, ৭ মে ভারত যখন বাহাওয়ালপুরের জঙ্গি ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছিল, তখন জঙ্গি মাসুদ আজহারের পরিবারকে টুকরো টুকরো করে ধ্বংস করা হয়েছিল।

'অপরাশেন সিঁদুর' ধ্বংস করেছে মাসুদের পরিবারকে, স্বীকার করে নিল জইশ'অপরাশেন সিঁদুর' ধ্বংস করেছে মাসুদের পরিবারকে, স্বীকার করে নিল জইশ
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 16 Sep 2025,
  • अपडेटेड 1:38 PM IST

অপারেশন সিঁদুরের সময় জঙ্গি মাসুদ আজহারের পরিবার নিহত হয়েছিল। অপারেশন সিঁদুরের কয়েক মাস পর, জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের তরফে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। জইশ-ই-মহম্মদের শীর্ষ কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি স্বীকার করেন, ৭ মে ভারত যখন বাহাওয়ালপুরের জঙ্গি ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছিল, তখন জঙ্গি  মাসুদ আজহারের পরিবারকে টুকরো টুকরো করে ধ্বংস করা হয়েছিল।

জইশ কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি বলেন, এই হামলায় মাসুদ আজহারের পরিবার অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং পরিবারের অনেক সদস্য নিহত হন। জইশ কমান্ডারের স্বীকারোক্তি সম্পর্কিত একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। এই ভিডিওতে কমান্ডারকে বলতে দেখা যাচ্ছে, 'সর্বস্ব উৎসর্গ করার পর, ৭ মে, বাহাওয়ালপুরে মওলানা মাসুদ আজহারের পরিবারের সদস্য, বিধবা, পুত্র এবং সন্তানদের ধ্বংস করা হয়েছিল। তাদের টুকরো টুকরো করে ধ্বংস করা হয়েছিল।'

প্রসঙ্গত, বাহাওয়ালপুর পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের একটি শহর। জইশ-ই-মহম্মদের (JeM) সদর দফতর মারকাজ সুবহানআল্লাহ নামে একটি স্থানে অবস্থিত। পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ১০০ কিলোমিটার গভীরে অবস্থিত এই স্থান ছিল অপারেশন সিঁদুরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এবং মারাত্মক আক্রমণ। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই অপারেশনের অধীনে জইশের সদর দফতরকে লক্ষ্য করে। এই আক্রমণে জঙ্গিদের এই পুরো ঘাঁটিটি ধ্বংস হয়ে যায়। জঙ্গি মাসুদ আজহারের পরিবার এই জইশ ঘাঁটিতেই থাকত। স্যাটেলাইট চিত্র থেকে প্রাপ্ত ছবিতে দেখা যায়, ভারতের আক্রমণে জইশের  সুবহানআল্লাহ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হামলার পর, ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নিশ্চিত করেন, এটিই জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর। ভারতের বিরুদ্ধে অনেক হামলার পরিকল্পনা এই জায়গা থেকেই অতীতে করা হয়েছিল।

মাসুদ ইলিয়াসের এই ভিডিও বিবৃতি পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদের জন্য বড় ধাক্কা। ইলিয়াস জইশের একজন প্রধান কমান্ডার। তিনি  স্বীকার করেন, অপারেশন সিঁদুরের সময়, বাহাওয়ালপুরের মারকাজ সুবহানআল্লাহ কমপ্লেক্স ছিল জইশের সদর দফতর। ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ জন সদস্য এবং ৪ জন সহযোগী নিহত হন। এর মধ্যে আজহারের বোন, তার স্বামী এবং বেশ কয়েকজন শিশুও ছিল। পাকিস্তানি মিডিয়া প্রথমে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল, কিন্তু আজহার নিজেই নিশ্চিত করেছে যে তার পুরো পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এই কমপ্লেক্সটি ১৫ একর জুড়ে বিস্তৃত ছিল, যেখানে যুবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত এবং মৌলবাদী শিক্ষা দেওয়া হত।

Advertisement

অপারেশন সিঁদুর
৭ মে ভোর ১:০৫ মিনিটে ভারতীয় বিমান বাহিনী নয়টি জঙ্গি শিবিরে হামলা চালায়, যার মধ্যে জইশ, লস্কর-ই-তৈয়বা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের শিবিরও ছিল। এর চারটি অবস্থান ছিল পাকিস্তানে (শিয়ালকোট, মুরিদকে এবং বাহাওয়ালপুর) এবং পাঁচটি পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে। মাসুদ আজহার জইশের প্রতিষ্ঠাতা এবং রাষ্ট্রসংঘ কর্তৃক চিহ্নিত জঙ্গি।  ৫৬ বছর বয়সী আজহার ২০০০ সালে জইশ প্রতিষ্ঠা করেন এবং বেশ কয়েকটি বড় হামলার পরিকল্পনা করেন। এর মধ্যে রয়েছে ২০০১ সালের সংসদ হামলা, ২০০৮ সালের মুম্বই হামলা, ২০১৬ সালের পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে হামলা এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলা।

Read more!
Advertisement
Advertisement