
ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে রীতিমতো উস্কানি পাকিস্তানের। প্রকাশ্যে যুদ্ধের হুমকি পাকিস্তান মুসলিম লিগের (PML) যুব শাখার সভাপতি কামরান সইদ উসমানির। তাঁর দাবি, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত কোনও পদক্ষেপ নিলে ঢাকার পাশে দাঁড়াবে ইসলামাবাদ। ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক টানাপোড়েনের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের শাসক দলের নেতার এই মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, মত বিশ্লেষকদের।
ভিডিও বার্তায় কামরান সইদ উসমানি বলেন, 'ভারত যদি বাংলাদেশের উপর আক্রমণ করে, যদি কেউ বাংলাদেশের স্বাধীনতার দিকে কুনজর দেয়, তা হলে পাকিস্তানের জনগণ, পাক সেনা এবং আমাদের মিসাইল বসে থাকবে না।' তাঁর দাবি, বাংলাদেশকে ‘অখণ্ড ভারতে’র অধীনে আনতে চায় নয়াদিল্লি। মেনে নেবে না পাকিস্তান, বার্তা পিএমএল নেতার।
এখানেই থামেননি। ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের অতীত সামরিক সংঘর্ষের প্রসঙ্গও টেনে আনেন। বলেন, 'অপারেশন বুনিয়ান-ই-মার্সুস’-এর সময় যেভাবে ভারতকে চাপে ফেলা হয়েছিল, প্রয়োজনে সেই পরিস্থিতিই আবার তৈরি করা হবে।' পশ্চিম দিক থেকে পাকিস্তান, পূর্ব দিক থেকে বাংলাদেশ এবং উত্তর-পূর্ব সীমান্তে চিন হামলা চালাবে বলে হুঁশিয়ারিও দেন। যদিও তাঁর এই বক্তব্যের বাস্তবতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।
আরও বিতর্ক ছড়িয়েছে তাঁর দ্বিতীয় ভিডিওতে দেওয়া এক প্রস্তাবে। সেখানে উসমানি সরাসরি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সামরিক জোট গঠনের আহ্বান জানান। তাঁর অভিযোগ, বিএসএফ নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের সীমান্ত পরিস্থিতি অশান্ত করছে। তাঁর দাবি, ভারতের লক্ষ্য বাংলাদেশকে ভেঙে একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠা করা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ওসমানির প্রস্তাব, পাকিস্তান যেন বাংলাদেশে একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করে। আবার বাংলাদেশও যেন পাকিস্তানে একটি সামরিক ঘাঁটি গড়ে তোলে। দুই দেশের সামরিক বাহিনীর দুর্দশার প্রেক্ষিতে তা কার্যত অবাস্তব বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সব মিলিয়ে, ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান মুসলিম লিগের যুবনেতার এই বক্তব্যে গোটা উপমহাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আগামিদিনে এহেন উস্কানিমূলক মন্তব্যে কি কূটনৈতিক সংঘাত আরও বাড়বে? সেই দিকেই তাকিয়ে আন্তর্জাতিক মহল।