Advertisement

Pakistan : ট্রাম্পের কথায় নাচছে পাকিস্তান, 'গুপ্তধনে'র খোঁজে আরব সাগরে বানাচ্ছে আস্ত দ্বীপ

পাকিস্তানের জ্বালানি তেল ও গ্যাসের উপর আগ্রহ দেখিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি শেহবাজ শরিফকে বলেছিলেন, 'ড্রিল, বেবি, ড্রিল'। আর আমেরিকার এই স্লোগানকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে পাক সরকার।

Mian Muhammad Shehbaz Sharif,Donald TrumpMian Muhammad Shehbaz Sharif,Donald Trump
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 20 Nov 2025,
  • अपडेटेड 4:01 PM IST
  • পাকিস্তানের জ্বালানি তেল ও গ্যাসের উপর আগ্রহ দেখিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
  • আমেরিকার এই স্লোগানকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে পাক সরকার

পাকিস্তানের জ্বালানি তেল ও গ্যাসের উপর আগ্রহ দেখিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি শেহবাজ শরিফকে বলেছিলেন, 'ড্রিল, বেবি, ড্রিল'। আর আমেরিকার এই স্লোগানকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে পাক সরকার। তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান বৃদ্ধির জন্য একটি কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করছে পাকিস্তান পেট্রোলিয়াম লিমিটেড (পিপিএল)। 

ব্লুমবার্গে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, সিন্ধু নদীর কাছে অবস্থিত সুজাওয়ালের কাছে সিন্ধু উপকূল থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে এই দ্বীপটি তৈরি করা হবে। পাকিস্তানের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র করাচি থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে সুজাওয়াল অবস্থিত।

পাকিস্তান পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন,  সব সময় খননের জন্য ও জোয়ার থেকে রক্ষা করার জন্য দ্বীপের কাঠামো ছয় ফুট উঁচু করা হবে। দ্বীপটির নির্মাণ কাজ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে সম্পন্ন হবে। তারপরই খনন কার্য শুরু হবে। এমন প্রায় ২৫টা দ্বীপ খনন করা হবে। 

প্রসঙ্গত, সমুদ্রের মাঝে এভাবে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি পাকিস্তানে প্রথম হচ্ছে। যদিও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো দেশগুলো আগেই পরীক্ষামূলকভাবে এমন খনন কাজ করেছে। যা সফলও হয়েছে। এই জাতীয় দ্বীপগুলি তৈরির জন্য সমুদ্রে মাটি, বালি বা অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী জমা করে ভরাট করা হয়। যতক্ষণ না সমুদ্রের তলদেশ ভরাট হচ্ছে ততক্ষণ ভরাট চলতে থাকে। এই দ্বীপ শুধু খননের জন্য নয়, যাতে বসবাস করা যায় সেভাবে তৈরি করা হবে। লক্ষ্য হল, কর্মীদের সেখানে রেখে কাজ করানো।  বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে, জাপান প্রায় এমন ৫০টি কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করেছে, চিনেও আছে। 

যদিও এমন দ্বীপ তৈরির জন্য পাকিস্তানের খরচ হবে লাখ লাখ কোটি টাকা। অথচ আদৌ সেখানে খনিজ তেল পাওয়া যাবে কি না তা নিশ্চিত নয়। কারণ, তেমন কোনও প্রমাণ পাকিস্তানের হাতে নেই। অশোধিত তেলের মজুতের ক্ষেত্রে বিশ্বে ৫০তম স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। নিজেদের প্রয়োজনের ৮০ শতাংশ তারা আমদানি করে। 

Advertisement

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৯ সালে করাচি উপকূলের কাছে কেকরা-১ কূপ খননের চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। পরে যদিও সেখান থেকে কিছুই মেলেনি। ফলে মার্কিন জায়ান্ট এক্সন মবিল বাজার থেকে বেরিয়ে যায়। সম্প্রতি কুয়েত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এবং শেল সহ বেশ কয়েকটি তেল কোম্পানি পাকিস্তানের উপকূল ছেড়ে চলে গিয়েছে। 
 

Read more!
Advertisement
Advertisement