Advertisement

Pakistan Unrest Situation: ইসলামাবাদ, লাহোরের রাস্তায় হাজার হাজার কট্টরপন্থী, কাঁপছে শাহবাজ সরকার

ঠিক যেন এক যুদ্ধক্ষেত্র। চারদিকে কন্টেইনার, কাঁটাতার, বুটের শব্দ। স্তব্ধ ইন্টারনেট।পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে  রাস্তাজুড়ে টহল সশস্ত্র বাহিনীর। কেন? কারণ লাব্বাইক পাকিস্তান (Tehreek-e-Labbaik Pakistan বা TLP) এর হাজার হাজার সমর্থক ইসলামাবাদের মার্কিন দূতাবাসের দিকে হাঁটতে শুরু করেছেন।

পাকিস্তানে ভয়ানক পরিস্থিতি।পাকিস্তানে ভয়ানক পরিস্থিতি।
Aajtak Bangla
  • 10 Oct 2025,
  • अपडेटेड 2:35 PM IST
  • ঠিক যেন এক যুদ্ধক্ষেত্র। চারদিকে কন্টেইনার, কাঁটাতার, বুটের শব্দ।
  • পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে  রাস্তাজুড়ে টহল সশস্ত্র বাহিনীর।
  •  লাব্বাইক পাকিস্তান (Tehreek-e-Labbaik Pakistan বা TLP) এর হাজার হাজার সমর্থক ইসলামাবাদের মার্কিন দূতাবাসের দিকে হাঁটতে শুরু করেছেন।

ঠিক যেন এক যুদ্ধক্ষেত্র। চারদিকে কন্টেইনার, কাঁটাতার, বুটের শব্দ। স্তব্ধ ইন্টারনেট।পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে  রাস্তাজুড়ে টহল সশস্ত্র বাহিনীর। কেন? কারণ লাব্বাইক পাকিস্তান (Tehreek-e-Labbaik Pakistan বা TLP) এর হাজার হাজার সমর্থক ইসলামাবাদের মার্কিন দূতাবাসের দিকে হাঁটতে শুরু করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবারই লাহোরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দুই জনের। আহত অনেকে। আসলে গাজার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এই পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে রাজধানীতে এখন যুদ্ধক্ষেত্রের আবহ তৈরি হয়েছে। ইসলামাবাদের এই ‘রেড জোন’ এ মার্কিন দূতাবাসসহ একাধিক বিদেশি কূটনৈতিক দফতর রয়েছে। সেই অঞ্চলকে কেন্দ্র করে এখন কড়া নিরাপত্তা জারি। রীতিমতো খালি করে দেওয়া হয়েছে হোটেল। রাস্তায় কন্টেইনার বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এর খবর অনুযায়ী, লাহোরে বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত দুই প্রতিবাদকারীর। পুলিশের দাবি, নিহতের সংখ্যা এক। একাধিক পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। লাহোরে মুলতান রোড এখনও পর্যন্ত অবরুদ্ধ। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গাড়ি ভাঙচুর, দোকান লুটপাট হয়েছে বলেও অভিযোগ।

ঘটনার পর লাব্বাইক পাকিস্তান তাদের সমর্থকদের ইসলামাবাদের দিকে এগিয়ে যেতে আহ্বান জানিয়েছে। দলের বক্তব্য, তারা ‘গাজার জন্য ন্যায়বিচার’ চাইছে। তবে পাকিস্তান সরকার বলছে, এই প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ নয়। তাদের আশঙ্কা, পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তালাল চৌধুরীর অভিযোগ, 'লাব্বাইক সংগঠন গাজার ইস্যুকে ব্যবহার করছে দেশের ভেতরে গোলযোগ তৈরি করার জন্য।' তাঁর দাবি, 'ধৃত আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে লাঠি, রাসায়নিক দ্রব্য, এমনকি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে।'

লাব্বাইক পাকিস্তান মূলত এক চরমপন্থী ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। ২০১৫ সালে মৌলবি খাদিম হুসেন রিজভি এই দল গঠন করেন। ইসলামবিরোধী কোনও মন্তব্য বা আইন সংস্কারের প্রস্তাব উঠলেই রাস্তায় নামে এই সংগঠন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলটি লক্ষাধিক ভোট পায়। রিজভির মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে সাদ রিজভি এখন দলের নেতৃত্বে।

২০২১ সালে ফ্রান্স-বিরোধী আন্দোলনের সময় এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে সরকারের সঙ্গে চুক্তির পর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

Advertisement

বর্তমানে ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। ফয়জাবাদ ইন্টারচেঞ্জসহ প্রধান রাস্তাগুলিতে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। মার্কিন দূতাবাস নাগরিকদের সতর্ক করে বলেছে, 'বৃহৎ ভিড় এড়িয়ে চলুন, এবং নিজের চারপাশ সম্পর্কে সজাগ থাকুন।'

পাকিস্তানের রাজনীতি এখন যেন বারুদের ওপর দাঁড়িয়ে। শুক্রবারও এই আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছে লাব্বাইক। তাই রাজধানীতে এখন আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তার ছায়া।

Read more!
Advertisement
Advertisement