রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দর সহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিতে ভারত ব্রহ্মস মিসাইল দিয়ে হামলা করেছিল, নিজে মুখেই এবার একথা স্বীকার করে নিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। আজারবাইজানে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে শরিফ বলেন, 'আসিম মুনিরের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ১০ মে ফজরের নামাজের পর ভারতে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল। তবে, ভোরের আগেই পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে দূরপাল্লার সুপারসনিক ব্রহ্মস ক্রুজ মিসাইল বর্ষণ করা হয়েছিল। ভোরে আক্রমণের কথা মুনির আমাকে জানিয়েছিলেন।'
শরিফ আরও বলেন, '৯-১০ মে রাতে, আমরা ভারতীয় আগ্রাসনের পরিমিত জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ভোর সাড়ে ৪ টেয় ফজরের নামাজের পর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল, যাতে শিক্ষা দেওয়া যায়। কিন্তু সেই সময় আসার আগেই ভারত আবারও ব্রহ্মস মিসাইল ব্যবহার করে হামলা চালায় রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দর সহ পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশকে লক্ষ্য করে।
প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ভারত যে ১১টি সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করেছিল, তার মধ্যে রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটি ছিল। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতর থেকে ঢিল ছোড়া দূরে অবস্থিত এই বিমানঘাঁটিতে লকহিড সি-১৩০ হারকিউলিস এবং ইলিউশিন ইল-৭৮ রিফুয়েলারের মতো সামরিক বিমান ছিল। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণে কমপক্ষে দুটি সামরিক বিমানের ক্ষতির ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
নূর খান ছাড়াও ভারত রফিকি, মুরিদ, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর এবং চুনিয়ানে পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। স্কার্দু, ভোলারি, জ্যাকোবাবাদ এবং সারগোধার বিমান ঘাঁটিতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সূত্র ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছে যে পাকিস্তানের বিমান ঘাঁটিতে নির্ভুল আঘাত হানার জন্য Su-30MKI জেট থেকে প্রায় ১৫টি ব্রহ্মস মিসাইল ছোড়ে ভারত।