Advertisement

Shehbaz Sharif Fake News: কাশ্মীর নিয়ে পোস্ট, ফ্যাক্টচেক করে শেহবাজের মুখে ঝামা ঘষে দিল X

ফেক নিউজ বা মিথ্যে খবর ছড়ানোর বিষয়ে পাকিস্তানের কোনও জুড়ি নেই। আর সেই বিষয়টা আরও একবার প্রমাণ করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া X-এ ভারতের কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি করেন। পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলেও সেই পোস্টে জানান তিনি। আর এই পোস্ট করেই সমালোচনার শিকার হলেন শেহবাজ। স্বয়ং সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এক্স-ই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এই দাবিকে উড়িয়ে দেয়। এই পোস্টকে মিসলিডিং নিউজ বলে ঘোষণা করে তারা। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়েন শেহবাজ।

কাশ্মীর নিয়ে শেহবাজের পোস্টকাশ্মীর নিয়ে শেহবাজের পোস্ট
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 28 Oct 2025,
  • अपडेटेड 9:27 AM IST
  • ফেক নিউজ বা মিথ্যে খবর ছড়ানোর বিষয়ে পাকিস্তানের কোনও জুড়ি নেই
  • সেই বিষয়টা আরও একবার প্রমাণ করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ
  • তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া X-এ ভারতের কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি করেন

ফেক নিউজ বা মিথ্যে খবর ছড়ানোর বিষয়ে পাকিস্তানের কোনও জুড়ি নেই। আর সেই বিষয়টা আরও একবার প্রমাণ করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া X-এ ভারতের কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি করেন। পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলেও সেই পোস্টে জানান তিনি। আর এই পোস্ট করেই সমালোচনার শিকার হলেন শেহবাজ। স্বয়ং সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এক্স-ই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এই দাবিকে উড়িয়ে দেয়। এই পোস্টকে মিসলিডিং নিউজ বলে ঘোষণা করে তারা। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়েন শেহবাজ।

মিথ্যে প্রোপাগ্যান্ডা ছড়াচ্ছে পাকিস্তান

কাশ্মীর নিয়ে প্রতিবছর ২৭ অক্টোবর মিথ্যে প্রোপাগ্যান্ড ছড়িয়ে দেয় পাকিস্তান। তারা জানায় যে, আজ থেকে ঠিক ৭৮ বছর আগে ভারতীয় সেনা শ্রীনগরে প্রবেশ করে। তারপর দখল করে নেয়। প্রতিবছরই ২৭ অক্টোবর এই কাঁদুনি গেয়ে যায় পাকিস্তান।

আর এই বছর এই একই পথে হেঁটেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্স-এ একটি পোস্ট শেয়ার করেন। সেই পোস্টে তিনি কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অংশ বলে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি সেখানে ভারতীয় সেনার আগ্রসনের কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলেও লেখেন।

যদিও এমন পরিস্থিতিতে একটুও সময় নষ্ট করেনি এক্স। তাদের পক্ষ থেকে পাক প্রধানমন্ত্রীর পোস্টের ফ্যাক্ট চেক করা হয়। তারপর জানিয়ে দেওয়া হয়, এই দাবি মিথ্যে।

এক্স লেখে, 'এটা একটি বিভ্রান্তিকর খবর। মহারাজা হরি সিং ১৯৪৭ সালের ২৭ অক্টোবর ভারতে যুক্ত হওয়ার সম্মতি জানান। এই চুক্তি হওয়ার পরই ভারত অঞ্চলটিকে রক্ষা করার স্বার্থে শ্রীনগরে সেনা পাঠায় ২৭ অক্টোবর ১৯৪৭-এ।'

এই ফ্যাক্ট চেক করার সময় অল ইন্ডিয়া রেডিওর একটি আর্কাইভে থাকা ঐতিহাসিক চিঠিকে উদ্ধৃত করে সংস্থা। এই চিঠিতেই জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতে যুক্ত করার চুক্তিতে সম্মতি জানান মহারাজা হরি সিং।

এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি আরও একাধিক ঐতিহাসিক প্রমাণ তুলে ধরে এক্স। সেই সব নথিতে এটা স্পর্ষ্ট করে লেখা ছিল যে জম্মু ও কাশ্মীরকে রক্ষা করার জন্যই সেখানে সেনা পাঠিয়েছিল ভারত সরকার। সেটা দখল করা হয়নি।

Advertisement

ফ্যাক্টচেক করছে এক্স

সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভুয়ো খবরের ছড়াছড়ি। আর এমন পরিস্থিতিতে মানুষের কাছে সঠিক খবর পৌঁছে দিতে ফ্যাক্ট চেক করছে এক্স। ২০২৫ সালের মে মাস থেকে নেওয়া হয়েছে উদ্যোগ।

কী হয়েছিল ২৭ অক্টোবর ২০২৭?

১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় প্রিন্সলি স্টেট ছিল জম্মু ও কাশ্মীর। এই রাজ্যকে অধিকার দেওয়া হয়েছিল তারা নিজের মতো করে স্বাধীন থাকতে পারে। আবার চাইলে ভারত বা পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ দিতে পারে। প্রাথমিকভাবে এই রাজ্যটি স্বাধীন থাকতে চায়। তবে ১৯৪৭ সালের অক্টোবর ২২ তারিখ এই রাজ্যে আক্রমণ চালায় পাকিস্তান সমর্থিত কিছু ট্রাইবাল ফোর্স। এরা উড়ি থেকে শুরু বারমুল্লা দখল করে নেয়। চলে লুট, জখম ও খুন। আসলে ট্রাইবাল ফোর্স দিয়ে রাজ্যটিকে দখল করতে চেয়েছিল পাকিস্তান।

এই সময় স্বরাষ্ট্রসচিব ভিপি মেননের কাছে সাহায্য চান মহারাজা হরি সিং। এর উত্তরে ভারত জম্মু ও কাশ্মীরকে নিজেদের সঙ্গে জুড়ে যেতে বলে। সেই চুক্তিতে সম্মত হন হরি সিং। তারপর ভারত কাশ্মীরে ফোর্স পাঠায়। এই হল ইতিহাস। আর তারই বিলাপ করছেন পাকিস্তানের প্রধানন্ত্রী।

Read more!
Advertisement
Advertisement