
দীপাবলিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে শুভেচ্ছা জানাতে তিনি ফোন করেছিলেন বলে দাবি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দেবে ভারত, এমন দাবি করে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও তা অস্বীকার করে দেয় ভারত। তবে এবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে বলে নিজেই জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মোদীর পোস্ট
এক্স পোস্টে বুধবার সকালে নরেন্দ্র মোদী লেখেন, 'ফোন করার জন্য এবং দীপাবলির শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ধন্যবাদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই আলোর উৎসবে দুই মহান গণতান্ত্রিক দেশ যেন বিশ্বকে আশা আকাঙ্খা নিয়ে আলোকিত করতে পারে। সর্বোপরি যেন আমরা একসঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারি।'
ট্রাম্পের দাবি
এদিন ভোর রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনে বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে দাবি করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে দীপাবলি উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতীয়দের। হোয়াইট হাউসের রিজলিউট ডেস্কের সামনে ফুল দিয়ে সাজানো একটি পঞ্চমুখী প্রদীপ জ্বালিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘এই প্রদীপ অন্ধকারের উপরে আলোর, অজ্ঞানের উপরে জ্ঞানের এবং মন্দের উপরে ভালোর জয়ের প্রতীক।’
ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জানান, প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের আগে তিনি মোদীকে ফোন করেছিলেন। ট্রাম্পের কথায়, ‘অনেক কিছু নিয়েই আলোচনা হয়েছে। তবে মোদী মূলত বাণিজ্য নিয়েই আগ্রহী। তাই এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই কথা হয় আমাদের।’ এ দিনও মোদীকে ‘দারুণ বন্ধু’ এবং ‘মহান নেতা’ বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। তোলেন ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত যাতে আর যুদ্ধে জড়িয়ে না পড়ে সেই নিয়ে কথা বলেছি আমরা।’
তিনিই ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ থামিয়েছেন বলে এ দিনও দাবি করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলাম। তার পরেই ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বন্ধ হয়। আটটি যুদ্ধের মধ্যে পাঁচটি শুধু বাণিজ্য আর ট্যারিফ দিয়ে থামিয়েছি।’ নয়াদিল্লি অবশ্য শুরু থেকেই ট্রাম্পের দাবি উড়িয়ে দিয়ে আসছে। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, দুই দেশের সেনাপ্রধানরা আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেন। কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের প্রশ্নই ওঠে না।