উপলক্ষ, বিমস্টেক গোষ্ঠীর শীর্ষ সম্মেলন (বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন)। তার আগে থাই প্রধানমন্ত্রী পায়েটোংটার্ন সিনাওয়াত্রার আতিথ্যে সরকারি নৈশভোজে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর পাশেই বসতে দেখা গেল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে। তাঁদের এমন আয়োজন সম্মেলনের ফাঁকে সম্ভাব্য দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে উস্কে দিয়েছে জল্পনা।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ছাড়াও বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে রয়েছেন থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মায়ানমার এবং ভুটানের রাষ্ট্রনেতারা। বাংলাদেশে পট পরিবর্তনের পর এই প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে একসঙ্গে দেখা গেল মোদী ও ইউনূসকে। গতবছর শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারানোর পর থেকে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক তলানিতে। ক্রমাগত ভারত বিরোধী বক্তব্য রেখে চলেছেন সে দেশের ছাত্র নেতারা। এমনকি চিনে ইউনূস উত্তর-পূর্ব নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।
বিমস্টেক গোষ্ঠীর শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে মোদীর সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন মহম্মদ ইউনূস। তবে ঢাকার আর্জিতে সাড়া দেয়নি নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনের সময় কোনও দ্বিপাক্ষিক কর্মসূচি নেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ফলে পাশাপাশি বসলেও দু'জনের বৈঠকের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
তবে বৈঠক হওয়া নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশের বিদেশসচিব মহম্মদ জসীম উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন,'আমাদের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে। আশা রাখছি, এই বৈঠক হবে'। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক চেয়ে আগেই নয়াদিল্লিকে বার্তা দিয়েছিল ঢাকা। তবে ইতিবাচক সংকেত দেয়নি সাউথ ব্লক।
গতবছর অগাস্টে তথাকথিত ছাত্র আন্দোলনের জেরে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ভারতে চলে আসেন। তার পর থেকে এ দেশেই আছেন। ইতিমধ্যে হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে চিঠিও দিয়েছে ইউনূস সরকার। কোনও সাড়া দেয়নি নয়াদিল্লি।