জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে (Shinzo Abe) নির্বাচনী সভায় গুলি করে হত্যা করা হল। শুক্রবারের এই ঘটনায় স্তম্ভিত তামাম দুনিয়া। শিনজো আবেকে স্মরণ করতে গেলে যে বিষয়টিকে আগে আনা উচিত, তা হল মোদী জমানায় ভারত ও জাপানের (India and Japan Relation) সম্পর্ক।
যে সকল রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) ভাল সম্পর্ক, তাঁদের মধ্যেই অন্যতম শিনজো আবে। বিশ্ব রাজনীতিতে একাধিক কূটনৈতিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ভারত-জাপান সম্পর্ককে অন্য মাত্রায় নিয়ে যায় মোদী-আবের বন্ধুত্ব। ঐতিহাসিক উচ্চতা বললেও অত্যুক্তি হয় না। জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মৃত্যুতে ভারতে জাতীয় শোক ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শিনজো আবে ও নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্ক
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আবের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে মোদীর। একাধিক আর্থিক ও সামরিক ইস্যুতে ভারত ও জাপানের সম্পর্ক মজবুত হয়। আবার অন্যদিকে দেখতে গেলে, মোদী ও আবের মধ্যে একগুচ্ছ মিলও রয়েছে। দুজনেই ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়েছিলেন। একাধিক ইস্যুতে সাড়া ফেলে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গিয়েছে আবেকেও। যা নিয়ে বিতর্কও হয়েছে। ভারতে যেমন মোদীর অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তকে একটা মহল 'মোদীনমিক্স' বলে, তেমনই জাপানে বলে 'আবেনমিক্স'।
মোদী সহ ৩ ব্যক্তিত্বের ট্যুইটার ফলো করতেন আবে
দুনিয়ার সেই সব রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে শিনজো আবে একজন, যিনি ২০১৪ সালে মোদীকে জয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন যখন, তখনও দেশে ভোট গণনা সম্পূর্ণ শেষ হয়নি। একটা সময় ছিল, যখন শিনজো আবে ৩ জনের ট্যুইটার ফলো করতেন। নরেন্দ্র মোদী, রাজনাথ সিং ও প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
মোদীকে বলেছিলেন, 'Most Dependable Friend'
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী জাপান সফরে গিয়েছিলেন যখন, প্রটোকল ভেঙে কিয়োটোতে মোদীকে রিসিভ করতে চলে গিয়েছিলেন আবে। গোটা দুনিয়া জাপান সরকারের এই কাজে তাজ্জব হয়েছিল। ২০১৮ সালে মোদী যখন দু দিনের সামিটে যোগ দিতে জাপান গিয়েছিলেন, সে বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করে আবে বলেছিলেন, 'আমি সারা জীবন ভারতের বন্ধু থাকবো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মোস্ট ডিপেন্ডেবল ফ্রেন্ড।'
২০২০ সালে যখন শিনজো আবে স্বাস্থ্যের সমস্যায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী পদে অবসর নিলেন, তখন মোদী আবেগপ্রবণ চিঠি লিখেছিলেন আবেকে। যা শুরু হয়েছিল, 'My Dear Friend' দিয়ে।