গাজা যুদ্ধের অবসান চেয়ে ২০ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সেই প্রস্তাবকেই পূর্ণ সমর্থন জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এই প্ল্যানকে 'দীর্ঘমেয়াদী শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের জন্য কার্যকর পথ' হিসাবে মনে করেন।
নিজের এক্স পোস্টে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানান, 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই উদ্যোগের পিছনে এসে সকলেই দাঁড়াবেন। এর মাধ্যমেই দ্বন্দ্বের অবসান হবে এবং ফিরবে শান্তি।'
গাজার যুদ্ধ থামানোর জন্য ২০ পয়েন্টের একটি প্ল্যান প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেখানে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির পক্ষে সওয়াল করা হয়। শুধু তাই নয়, হামাসের হাতে আটক ইজরায়েলিদের বিনিময়ে ইজরায়েলের হাতে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির কথাও বলা হয়। পাশাপাশি ধাপে ধাপে গাজা থেকে ইজরায়েলের সেনা প্রত্যাহার, হামাসের নিরস্ত্রীকরণের কথা বলা হয়। এখানেই থেমে না থেকে আন্তর্জাতিক সংস্থার নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়।
আর এই প্রস্তাব ট্রাম্প একা একা ঠিক করেননি। বরং ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করার পরই তা ঠিক করা হয়েছে। এই নিয়ে চলতি বছরে ৪ বার আমেরিকার হোয়াইট হাউজে গেলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।
নেতানিয়াহুকে পাশে বসিয়েই এই প্রস্তাব সকলের সামনে পেশ করেন ট্রাম্প। তিনি জানান, এই প্রোপোজাল মেনে নিলেই যুদ্ধবিরতি সম্ভব।
পাশাপাশি আমেরিকা যে এখনও ইজরায়েলের পাশে রয়েছে, সেটাও স্পষ্ট করে দেন ট্রাম্প। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হামাস এই প্রস্তাব মেনে না নিলে ইজরায়েল নিজের মতো করে পদক্ষেপ নিতে পারে। আমেরিকা পাশে রয়েছে।
অর্থাৎ সোজা ভাষায় হামাসকে এই প্রোপোজাল মেনে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে আমেরিকা। সেটাই এই যুদ্ধ বন্ধের সহজ পথ বলে মনে করছেন তারা।
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে
প্যালেস্তাইন ও ইজরায়েলের এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধতে প্রাণ গিয়েছে বহু নিরীহ মানুষের। মারা গিয়েছে ছোট ছোট শিশু। লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ বাসস্থানহীন। তাদের কাছে নেই খাবার। তাই পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই এই যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে সওয়াল করেছে। তবে হাজার চেষ্টার পরও নানা কারণে এই যুদ্ধ এখনও বন্ধ হয়নি। আর এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের নয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। এখন বল রয়েছে হামাসের কোর্টে। তারা প্রস্তাব মেনে নিলেই এই যুদ্ধের অবসান হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।